করোনাভাইরাসের বিস্তর মোকাবিলায় সরকার বৃহস্পতিবার থেকে ৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। অতি জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে গেলে গ্রেপ্তার ও জরিমানার কথাও বলা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন।
এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে গণটিকা কর্মসূচির বাস্তবায়ন হবে কী ভাবে? শাটডাউনে গাড়ি সংকটে যারা টিকা নিতে পারবেন না তারা কি পরবর্তীতে টিকা নেবেন?
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, শাটডাউনের মধ্যে টিকা কার্ড নিয়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে যেতে পারবেন টিকা গ্রহণকারীরা। যারা এসএমএস পাবেন তাদের ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা, করোনার টিকাদান ও গ্রহণকারীর যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। এসএমএস পাওয়ার পর যানবাহন সংকটের কারণে যারা টিকা কেন্দ্রে যেতে পারবেন না তারা পরে ওই কেন্দ্রে টিকা নেয়ার সুযোগ পাবেন।
এদিকে দু্পুরে রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউন বা শাটডাউনে অনুমোদিত কারণের বাইরে কেউ রাস্তায় বের হলে তাকে দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারায় গ্রেপ্তার করা হবে। এই ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ৬ মাসের জেল। এ সময়ে ভিড় এড়াতে কাঁচাবাজার বসবে রাস্তায়।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সঙ্গত কারণ ছাড়া অকারণে কেউ ঘর থেকে বের হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হবে। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৬৯ ধারায় মামলা দিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হবে। আবার আদালতে না পাঠিয়ে মোবাইল কোর্ট দিয়ে তাদের তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থাও করা হতে পারে। লকডাউনে কাঁচাবাজার বা ওষুধ কেনার জন্য বের হওয়া যাবে। টিকার তারিখ থাকলে বের হতে পারবেন। অ্যাম্বুলেন্সে রোগী যাওয়া বা দাফন ও সৎকারের জন্যও বের হওয়া যাবে।
টিকাদানের বিষয়ে বিএসএমএমইউ টিকাদান কেন্দ্রের সমন্বয়কারী ডা. খোরশেদ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গাড়ি সংকটের কারণে এসএমএস আসার পরও যারা টিকা নিতে আসতে পারবে না। তারা যে টিকাদান কর্মসূচি চলামান থাকা অবস্থায় যে কোনো সময় টিকা নিতে পারবেন। এটা নিয়ে কোনো অসুবিধান হবে না। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আগেই জানানো হয়েছে, লকডাউনে চলবে টিকাদান। টিকা কার্ড দেখিয়ে টিকা নেয়া যাবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে টিকা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। যারা টিকা নিতে আসবেন তাদের বাধা দিবে না আইনশৃঙ্খালাবাহিনী। গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে অনেকেই টিকা নিতে আসতে পারবেন না। তার পরবর্তী যে কোনো সময়ে টিকা নিতে পারবেন।