শাটডাউন নামে পরিচিতি পাওয়া কঠোর বিধিনিষেধে আকাশপথে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হচ্ছে না রাজধানী।
চট্টগ্রাম, সিলেট ও কক্সবাজার থেকে আকাশপথে আসা যাবে ঢাকায়। অবশ্য অভ্যন্তরীণ রুটের না, আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীদের এভাবে ঢাকায় আনবে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
বৃহস্পতিবার বিধিনিষেধের প্রথম দিন থেকেই আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীদের এ সুবিধা দেবে বিমান।
বুধবার বিকেলে বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপন আসার পর সন্ধ্যায় বিমানের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিমান বলছে, করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে সরকারের বিধিনিষেধের আওতায় কঠোর লকডাউনে বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট ১ থেকে ৭ জুলাই বন্ধ থাকবে।
তবে কেবল আন্তর্জাতিক ট্রানজিট যাত্রী পরিবহনের জন্য ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট ও কক্সজবাজার গন্তব্যে স্বল্পসংখ্যক ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। কেবল বিদেশগামীরা চড়তে পারবেন এসব ফ্লাইটে।
অবশ্য বিদেশগামীরা সড়কপথেও গাড়ি ভাড়া করে ঢাকায় আসতে পারবেন। তাদের টিকিটই যাতায়াতের বৈধতা হিসেবে ধরবে পুলিশ।
এর আগে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বেবিচকের দেয়া এক সার্কুলারে অভ্যন্তরীণ রুটে সাত দিনের ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞা দিয়ে জানানো হয়, ত্রাণ ও চিকিৎসাকাজে ব্যবহৃত ফ্লাইট ও কার্গো ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে চার্টার্ড ফ্লাইটও পরিচালনা করা যাবে।
দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর গত বছরের মার্চে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব রুটে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করে বেবিচক। অবশ্য জুলাই মাস থেকে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করে আকাশপথ।
চলতি বছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে ৫ এপ্রিল থেকে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। সে সময় আন্তজেলা পরিবহনগুলোর মতো বন্ধ করা হয় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচলও। অবশ্য ২১ এপ্রিল থেকে আবারও সীমিত পরিসরে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয় বেবিচক।