প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপসহকারী পরিচালক মোতালেব হোসেন ও তার স্ত্রী ইসরাত জাহান বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন রাখার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিকী মামলাটি করেন।
এর আগে প্রাথমিক তদন্তে আসামি দুই জনের বিরুদ্ধে বিপুল সম্পদের সন্ধান পায় দুদক।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী উপ পরিচালক মোতালেব হোসেন। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে তার সম্পদের পরিমাণ ৮৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা। অথচ তার মৎস্যজীবী স্ত্রী ইসরাত জাহানের সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি টাকার বেশি।
সম্পদের অনুসন্ধান করতে গিয়ে দুদক জানতে পারে, চাকরি জীবনে মাত্র ৫ মাস ছাড়া পাসপোর্ট অফিস থেকে সরেননি কখনও। অভিযোগ রয়েছে তার ইশারায় বদলি হয় সবার।
২০ বছরের চাকরি জীবনে ঢাকার বাইরে কর্মরত ছিলেন মাত্র ৫ মাস। ২০০০ সালের ৩০ জানুয়ারি সাঁটলিপিকার পদে পাসপোর্ট অফিসে তার চাকরিজীবন শুরু।
আয়কর নথি বলছে, আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে মোতালেব হোসেনের সম্পদের পরিধি। নিজের নামে পটুয়াখালীতে একের পর এক জমি কিনে সেগুলো দেখান পৈত্রিক সম্পদ হিসেবে।
দুদক থেকে জানানো হয়, ২০১৫ সালে মোতালেব হোসেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী হওয়ার পর সম্পদের পাহাড় গড়া শুরু হয় তার। অঢেল সম্পদের বৈধতা দিতে স্ত্রীকে মৎস্য ব্যবসায়ী হিসেবে আয়করে উল্লেখ করে ২০১৫ সালে স্ত্রীর নামে বরিশালের রুপাতলীতে কেনেন ২৯ লাখ টাকার জমি। আর গাজীপুরে কেনেন প্রায় সাড়ে ৩২ লাখ টাকার জমি। ২০১৬ সালে স্ত্রীর নামে মিরপুরে একটি ১১তলা ভবনে কেনেন ৬৮ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, মোতালেব-ইসরাত দম্পতির মোট সম্পদের মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে মোতালেবের সাড়ে ৩৪ লাখ টাকা ও স্ত্রীর নামে ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকারই কোনো বৈধ উৎস নেই।