করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বৃহস্পতিবার থেকে ৭ দিনের শাটডাউনে বন্ধ থাকবে যন্ত্রচালিত সব যানবাহন। এ সময় সড়ক, রেল, নৌ ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটসহ সব গণপরিবহনও বন্ধ থাকবে।
যন্ত্রচালিত যান না হওয়ায় রিকশা চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বুধবার দেয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে।
এ সময় সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহনসহ যন্ত্রচালিত যানবাহন বন্ধ থাকবে।
আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবায় জড়িত ব্যক্তিদের এই বিধিনিষেধের বাইরে রাখা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কৃষিপণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যদ্রব্য ও খাদ্যশস্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকাদান, রাজস্ব আদায়-সম্পর্কিত কার্যাবল যেমন, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস বা জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিটিক্যালস অন্য জরুরি ও অত্যাবশকীয় পণ্য এবং সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোর কর্মচারীরা প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র দেখিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন।
এ ছাড়া পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক, লরি, কাভার্ড ভ্যান, কার্গো ভেসেল নিষেধাজ্ঞা আওতার বাইরে থাকবে।
যারা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা নেবেন, তারা টিকা কার্ড দেখিয়ে বাইরে বের হতে পারবেন।
আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকায় বিদেশগামী যাত্রীরা তাদের আন্তর্জাতিক ভ্রমণের টিকিট দেখিয়ে গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন বলেও জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।
সরকার শাটডাউন বাস্তবায়নে এবার সেনাবাহিনীকেও মাঠে নামাচ্ছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠপর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করতে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয়সংখ্যক সেনা মোতায়েন করবে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
এ ছাড়া শাটডাউন বাস্তবায়নে মাঠে থাকবে বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যরা।
তারা কীভাবে টহল দেবে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করে সিদ্ধান্ত নেবেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
মাঠে থাকবে প্রয়োজনীয়সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।