বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদেশ যেতে ক্ষমা চাইতে হবে খালেদাকে

  •    
  • ৩০ জুন, ২০২১ ১৩:৪২

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ক্ষমা চাওয়ার বাইরে অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ নেই।

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেই বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ পেতে পারেন বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেছেন, ক্ষমা চাওয়ার বাইরে অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় খালেদার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ নেই।

জাতীয় সংসদে বুধবার ২০২১-২২ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে আইন মন্ত্রণালয়ের দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবে অংশ নিয়ে বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্যরা খালেদা জিয়াকে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার সুযোগ চান। এর জবাবে আইনমন্ত্রী উল্লিখিত কথাগুলো বলেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের সাজা পেয়ে কারাগারে যান। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দেয়া এই সাজা পরে হাইকোর্ট বাড়িয়ে ১০ বছর করে।

এই সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানি আটকে আছে আপিল বিভাগে।

এর পর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেত্রীর সাজা হয় ৭ বছর। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা আপিল শুনানি আটকে আছে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে।

বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের নেত্রীকে রাজপথের আন্দোলনের পাশাপাশি উচ্চ আদালতে আইনি লড়াইয়ে মুক্ত করার ঘোষণা ছিল। কিন্তু দুটি প্রক্রিয়াতেই তারা ব্যর্থ হওয়ার পর উদ্যোগী হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবার।

২০২০ সালের ২৫ মার্চ বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল থেকে বাড়ি ফেরেন খালেদা জিয়া

২০২০ সালের শুরুর দিকে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করা হয়। আর সরকারপ্রধানের নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত হওয়ার পর ওই বছরের ২৫ মার্চ তিনি সাময়িক মুক্তি পান।

এরপর সাময়িক মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস করে দুই দফায় বাড়ানো হয়।

এর মধ্যে গত এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ২৮ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনা থেকে সেরে ওঠা বিএনপি নেত্রীকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ করে দিতে সরকারের কাছে আবার আবেদন নিয়ে যায় তার পরিবার।

এরপর খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পাসপোর্ট নবায়ন করা হয়। এতে আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে যে, তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হচ্ছে।

এভারকেয়ার হাসপাতালের পথে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া

তবে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ৯ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, আইন মন্ত্রণালয় তাদের জানিয়েছে, চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আইনি কোনো সুযোগ নেই।

সেদিন তিনি বলেন, ‘দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়ার বিধান আইনে নেই বলে মতামত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তার আলোকেই এই সিদ্ধান্ত।’

সরকার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়ারও ৪০ দিন পর গত ১৯ জুন হাসপাতাল থেকে গুলশানে নিজের বাসভবন ফিরোজায় ফিরে আসেন।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে এ বছরের ১৯ জুন বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা আমার কাছে একটি আবেদন নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তারা দরখাস্তে কোনো ধারার কথাও লেখেননি। পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমি সেটা ৪০১ ধারার কথা যুক্ত করি।

‘তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দেয়া হয় ওই ধারায়। এখন তিনি সেই ধারাতেই জেলের বাইরে আছেন।’

তিনি বলেন, ‘এখন তারা আবার ওই ধারায় তাকে বাইরে নেয়ার কথা বলছেন; সংসদে বক্তৃতা করছেন। কিন্তু একই আইনে তো একবারই সুবিধা নেয়া যায়। বারবার অযৌক্তিক দাবি করা তো অন্যায়। ৪০১ ধারায় ছয়টি সেকশন আছে। কোনো সেকশনই তাদের দাবি কভার করে না।’

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে আনিসুল বলেন, ‘বেগম জিয়া তো চিকিৎসা পাচ্ছেন। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। তাতে তো আমরা বাধা দিইনি। কাউকেই দিইনি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ওনাকে (খালেদা) যদি বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়, তবে তাকে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে ৪০১ ধারায়। অবশ্যই তাকে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর