করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বৃহস্পতিবার থেকে দেশজুড়ে শুরু হতে যাচ্ছে এক সপ্তাহের শাটডাউন। এতে কোরবানির পশু সরবরাহে কোনো ব্যঘাত সৃষ্টি হবে না বলে সরকার থেকে জানানো হয়েছে।
কঠোর লকডাউনে সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হলেও কোরবানির পশু সরবরাহ ছাড়ের আওতায় থাকছে বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এই মন্ত্রণালয় থেকে এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোরবানি পশু সরবরাহের পাশাপাশি মৎস্য ও প্রাণি, মৎস্য ও প্রাণিজাত খাদ্য এবং মৎস্য ও প্রাণিখাত উৎপাদনে ব্যবহার করা সামগ্রী উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ এবং বিপণন অব্যাহত রাখতে হবে।
মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ-২ অধিশাখা থেকে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা মৎস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে কাছে পাঠানো হয়েছে। বুধবার মন্ত্রণালয় সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে নিউজবাংলা।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভোক্তা পর্যায়ে প্রাণিজ আমিষ সরবরাহ অব্যাহত রাখা একান্ত জরুরি বিবেচনায় প্রাণিজ বিভিন্ন উপজাত, যেমন মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম এবং এ সংক্রান্ত উৎপাদন সামগ্রী অব্যাহতভাবে উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন প্রয়োজন। সেই সঙ্গে আসন্ন ঈদুল আজহার আগে দেশের সকল এলাকায় গবাদি পশুর সরবরাহ অব্যাহত রাখাও অত্যন্ত জরুরি।
বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও হাঁস-মুরগি, গবাদি পশু, মাছের পোনা, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, প্রাণিজাতপণ্য, মৎস্য ও পশু খাদ্যসহ এবং এ ধরনের খাদ্য উৎপাদনে প্রয়োজনীয় উপকরণ, কৃত্রিম প্রজনন এবং পশু চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং সরঞ্জামাদির অবাধ উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ এবং বিপণন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে দুই মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।