২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তিতে বিভাগ পরিবর্তন কেন বহাল রাখা হবে না এবং পরীক্ষার্থীদের দরখাস্ত কেন নিষ্পত্তি করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক। তার সঙ্গে ছিলেন মো. সাইফুল ইসলাম সোহেল ও ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান কিশোর।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), শিক্ষাসচিব, গুচ্ছপদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত ২০ বিশ্ববিদ্যালয়, গুচ্ছ পরীক্ষার আয়োজক কমিটিসহ ২৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় বিভাগ পরিবর্তন ইউনিট বহাল চেয়ে গত ২৯ মার্চ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন রাকিব হোসেন, রিয়াজ আহমেদ, সাদিয়া আফরিন ও সাজ্জাদ হোসেন নামের চার শিক্ষার্থী।
আবেদনে বলা হয়েছিল, বাংলা, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে বিভাগ পরিবর্তন ইউনিট বহাল রাখতে হবে। এ ছাড়া সিলেকশন বাতিল এবং ভর্তি আবেদন যোগ্যতায় পূর্বের জিপিএ বহাল রাখার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।
রিটকারীদের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম সোহেল নিউজবাংলাকে বলেন, আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন। রুলে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছপদ্ধতির ভর্তিতে বিভাগ পরিবর্তন কেন বহাল রাখা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আবেদন কেন নিষ্পত্তি করা হবে না, তা-ও রুলে উল্লেখ রয়েছে।
বেশ কিছুদিন আগে ৩ দফা দাবিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং কর্মকর্তাদের স্মারকলিপি দিয়েছেন রিটকারী শিক্ষার্থীরা। প্রেস ক্লাব ও ইউজিসির সামনে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ করেন তারা। দীর্ঘ আন্দোলনের পরও শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় এ রিট দায়ের করা হয়।