করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে শুরু হচ্ছে সরকার ঘোষিত শাটডাউন। এর আগে বাড়ি ফিরতে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে বুধবার ভোর থেকে দেখা দিয়েছে যাত্রীর ঢল।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ফেরিতে উঠে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন তারা। যাত্রীর চাপে ফেরিতে ঠাঁই পাচ্ছে না জরুরি ও পণ্যবাহী পরিবহন।
ঘাটে ফেরি ভিড়লেই তাতে হুড়মুড়িয়ে উঠছেন যাত্রীরা। বেশির ভাগের মুখেই দেখা যায়নি মাস্ক।
ঘাট ও ঘাটের প্রবেশমুখগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেকপোস্ট থাকলেও বিকল্প রাস্তায় অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করে যাত্রীরা ঘাটে পৌঁছাচ্ছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সুপার (বাণিজ্য) বসির আহমেদ জানান, এই নৌপথে চলছে ১৫টি ফেরি। সকালে ঘাট এলাকায় অপেক্ষায় ছিল চার শরও বেশি গাড়ি।
তিনি বলেন, ‘শাটডাউন শুরু হতে যাচ্ছে বলে মানুষ যে যেভাবে পারছে, ঘাটে আসছে, ফেরিতে উঠছে। যাত্রী পারাপারের বিষয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই।’
এই ঘাট থেকে যাত্রীরা গিয়ে নামছে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে। গণপরিবহন না থাকায় সেখানে অপেক্ষায় থাকা যাত্রীর ভিড় দেখা গেছে সকালে। কোনো ফেরি ঘাটে ভিড়লে অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নতুন নামা যাত্রী। সব মিলিয়ে থেমে থেমে এই ঘাটে লেগে থাকছে জটলা।
এই ঘাটেও ঢাকামুখী কিছু যাত্রী আছে।
ঢাকাগামী ‘কিশোরী’ নামের একটি ফেরির যাত্রী শাহ আলম বলেন, ‘জরুরি কাজে ঢাকা যেতে হবে। হাসপাতালে রোগী ভর্তি। তা না হলে এত কষ্ট করে ফেরিতে দাঁড়িয়ে ঢাকা যেতাম না।’
‘গোলাম মাওলা’ ফেরির খুলনাগামী যাত্রী নুর আলম বলেন, ‘ঢাকায় ফার্নিচারের কাজ করতাম। মালিক ছুটি দিয়ে দিল, আর বলল পরে ফোন দিলে আসিস। তাই বাড়ি যাচ্ছি।’
বাংলাবাজার ফেরিঘাটের সহব্যবস্থাপক সামসুল আবেদীন বলেন, ‘সকাল থেকে ঘরমুখী মানুষের চাপ বেশি। ভোর থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ বাড়ি ফিরতেছে। শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীর চাপ বেশি। তবে ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ অন্যান্য দিনের চেয়ে বেড়েছে। যাত্রীদের সঙ্গে ঘাটে আটকে থাকা পণ্যবাহী পরিবহন পারাপার হচ্ছে।’