অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, লাইকি, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেমসহ সব ধরনের ক্ষতিকর অ্যাপস অবিলম্বে বন্ধে পাঠানো আইনি নোটিশ অনুযায়ী বিটিআরসি কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি না, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
বুধবার রাষ্ট্রপক্ষকে বিষয়টি জানাতে মৌখিক আদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল গোলাম সরোয়ার পায়েল।
পরে ডিএজি গোলাম সরোয়ার পায়েল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালত আজ মৌখিকভাবে জানতে চেয়েছে, টিকটক, বিগো লাইভসহ এসব প্ল্যাটফর্ম বন্ধে পাঠানো আইনি নোটিশ অনুযায়ী বিটিআরসি কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি না। নিলে কী পদক্ষেপ নিয়েছে? বিয়ষটি আগামীকাল বুধবার আদালতকে জানাতে বলেছেন।’
গত ২৪ জুন সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রী ফায়ার গেম তথা লাইকির মতো সব ধরনের অনলাইন গেমস এবং অ্যাপস অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার এ রিট করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগসচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, শিক্ষাসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, স্বাস্থ্যসচিব এবং পুলিশের আইজিকে রিটে বিবাদী করা হয়।
এর আগে গত ১৯ জুন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম তথা লাইকির মতো সব ধরনের অনলাইন গেমস এবং অ্যাপস বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন দুই আইনজীবী।
রিটে বলা হয়, টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি এবং ফ্রি ফায়ার-এর মতো গেমগুলোতে বাংলাদেশের যুবসমাজ এবং শিশু-কিশোররা ব্যাপকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এর ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিনষ্ট হচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়ে পড়ছে মেধাহীন। এসব গেমস যেন যুবসমাজকে সহিংসতা প্রশিক্ষণের এক কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে। এসব বন্ধ করা উচিত।