করোনাভাইরাসের চলমান পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ রাখার মেয়াদ আরও এক দফা বাড়িয়েছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ রাখা হবে ১৪ দিন।
সোমবার বিকেলে এ সংক্রান্ত অষ্টম আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
এর আগে ১৩ জুন সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে ৩০ জুন করা হয়েছিল।
মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র বলছে, ভারত সীমান্ত খোলা নির্ভর করছে তাদের ও বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতির ওপর। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শিগগিরই সীমান্ত খোলার সম্ভাবনা নেই। তবে আপাতত তা আবার দুই সপ্তাহের জন্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পর্যালোচনার মাধ্যমে তা প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে।
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চরমে পৌঁছালে গত ২৬ এপ্রিল থেকেই দেশটির সঙ্গে সীমান্ত করে সরকার। মাঝে কয়েক দফায় বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এবার তা ৩০ জুন পর্যন্ত করা হলো।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে আটকে পড়াদের দেশে ফেরার সুযোগও বন্ধ থাকছে। সেখানে করোনার উচ্চ সংক্রমণ, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত ও লকডাউন চলার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সীমান্ত যোগাযোগ বন্ধ থাকলেও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল অব্যাহত আছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আজকের ভার্চুয়াল সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা শাখা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি এবং সীমান্ত জেলাগুলোর প্রশাসকরা অংশ নেন।
সভার সিদ্ধান্ত মতে, ১৪ জুলাই পর্যন্ত সীমান্তের সব স্থলবন্ধর বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি প্রয়োজনে অনুমতি সাপেক্ষে চলাচল করা যাবে। পণ্য পরিবহন আগের নিয়মে চলবে।