মানসিক ও দৃষ্টিবিভ্রম তৈরি করা লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইইথ্যালামাইড (এলএসডি) এবং এন, এন-ডাইমথাইলিট্রিপটামিনসহ (ডিএমটি) গ্রেপ্তার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
সোমবার বিকেলে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতে (সিএমএম) আসামিদের হাজির করে প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সানাউল হক।
এসময় রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার এবং শ্রী প্রাণ নাথসহ আসামিপক্ষের আরও কয়েকজন আইনজীবী।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আসামিদের পুলিশের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন বিচারক শাহিনুর রহমান।
আসামিদের মধ্যে সৈয়দ মঈন উদ্দিন আহমেদ ও স্বপ্নীল হোসেনকে দুই দিন এবং আব্রাহাম জোনায়েদ তাহের ও সিমিয়ন খন্দকারকে একদিনের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন তিনি।
২৬ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার লাভ রোড থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই চার শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সংস্থাটি জানিয়েছে, এসময় তাদের কাছ থেকে ৪০টি এলএসডি ব্লট, ৬০০ গ্রাম ডিএমটি ও ৬২ গ্রাম আমেরিকান গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি অভিযান দল ও সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় অভিযান চালায়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে দুই জন বিদেশে অবস্থানের সময় এসব মাদক সেবনে আসক্ত হয়ে পড়ে। ওই চার শিক্ষার্থী একই চক্রের মাধ্যমে বিদেশ থেকে এলএসডি ও ডিএমটি এনে নিজেরা সেবনের পাশাপাশি বিক্রি করতেন।
এলএসডি এবং ডিএমটি জিহ্বার স্বাদে, ধোঁয়া বা ইনজেকশনের মাধ্যমে নেয়া হয়। এটি সেবনের পর এক ধরণের হ্যালুসিনেশন তৈরি হয়, যা থেকে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
২৩ মে ঢাকা মেডিক্যালের মর্গ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করেন তার স্বজনেরা। ১৫ মে থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
অভিযোগ উঠেছে, এলএসডি সেবনের পর নিজের গলায় ধারালো দা দিয়ে আঘাত করে আত্মহত্যা করেছেন হাফিজুর।
এ ঘটনার পরই বিশ্বব্যাপী নিষিদ্ধ এলএসডির বেচাকেনা চক্রের খোঁজে অভিযানে নামে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।