টিকা নিয়ে আমরা বিশ্ব রাজনীতির শিকার বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
সোমবার পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২০’ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, আগামী মাসের শুরুতে চীন থেকে টিকার বড় চালান আসবে। করোনায় দুটি বিষয় খুবই কার্যকরী। একটি হচ্ছে মাস্ক, অপরটি হচ্ছে টিকা। মাস্কের ব্যবহার আমাদের হাতে থাকলেও টিকা আমাদের হাতে নেই। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় এক কোটি টিকা দেয়ার মতো সক্ষমতা আমাদের তৈরি হয়েছে, কিন্তু আমরা টিকা পাচ্ছি না। টিকা নিয়ে সারা বিশ্বে রাজনীতি চলছে, আমরাও তার শিকার।'
‘শুরুতে অনেক দেশ আমাদের দেশে টিকার ট্রায়াল করতে চেয়েছিল, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তা দেননি। এ নিয়ে নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর চেয়েছেন, যেহেতু এটি খুব দ্রুত সময়ে আবিষ্কার হচ্ছে, তাই টিকা পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমরা যেন গিনিপিগ না হই। অন্য দেশে টিকা আবিষ্কার করুক, সেটা ট্রায়াল করুক, যখন সেটা নিরাপদ ঘোষণা হবে, তখন আমরা টিকা নেব। তাতে যত টাকা লাগবে, টাকার ব্যবস্থা তিনি করবেন।’
‘এরই মধ্যে আপনারা তার প্রমাণ পেয়েছেন। বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের আগেই টিকা কার্যক্রম শুরু করেছে। আগামী মাসের শুরুতে টিকার বড় চালান বাংলাদেশে আসবে এবং তা অব্যাহত থাকবে। এতে করে আমাদের যে লক্ষ্য, বাংলাদেশের শতকরা ৮০ শতাংশ মানুষ মানুষকে টিকা দিয়ে নিরাপদে রাখা, তা পূরণ হবে। মাসের প্রথম সপ্তাহে তিন থেকে বড় চলে আসবে।
‘গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, যেসব শ্রমিক বিদেশে যাবে তাদের যেন আগে, অতি দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করে সুরক্ষিত করে দিই, যাতে করে তারা নিরাপদে বিদেশে যেতে পারেন। কারণ এই বিদেশি শ্রমিকরাই আমাদের রেমিট্যান্সের প্রধান উৎস।
‘অন্যদের অন্যদের জন্য টিকা ব্যবস্থা করা হবে, টিকা যেন গ্রাম পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়, সে ব্যাপারেও নির্দেশনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত করোনায় যত মানুষ এ দেশে মারা গেছে, তার তিন গুণ মানুষ প্রতিবছর মারা যায় যক্ষ্মায়। এসব নির্মূলে কর্মসূচি চলমান রয়েছে।’