লকডাউন কিংবা শাটডাউন নয়, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে সরকার স্ট্রিক্ট ভিউতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সচিবালয়ের সোমবার দুপুরে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সচিব। তিনি বলেন, ‘স্ট্রিক্ট ভিউতে যাচ্ছি আমরা। ১ তারিখ ভোর ছয়টা থেকে সাত তারিখ রাত ১২টা পর্যন্ত খুব স্ট্রিক্ট ভিউতে যাচ্ছি আমরা।’
‘ফলে এখন আমাদের স্ট্রিক্ট... লকডাউন ঠিক নয়, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। কিছু বাস্তব কারণে ৩০ তারিখ পর্যন্ত আমরা করতে পারছি না। সে কারণে ১ তারিখ থেকে।’
কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিজিবি সেনাবাহিনী এবং ব্যাটালিয়ন পুলিশ থাকবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, ‘আর্মি, বিজিবি, ব্যাটালিয়ন পুলিশ তারা সবাই মাঠে থাকবে। যতটুকু সম্ভব যা দরকার সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তাদেরকে অথরিটি দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যাতে মানুষকে ম্যাসিভভাবে ঘরের বাইরে বের হতে না পারে।’
অথরিটি বলতে কী বোঝানো হয়েছে, জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘ফোর্স করতে হলে, কাউকে ধরতে হলে, টহল দেবে। কেউ কথা না শোনলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া, এসব।’
মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করে এসব জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। বলেন, ‘ডিটেইল বলে দেয়া হবে আগামীকাল নোটিফিকেশনে।’
এর আগে লকডাউনে জনগণের চলাফেরায় পুলিশের পক্ষ থেকে যে ‘মুভমেন্ট পাস’ চালু করা হয়েছিল, সেটি এবার থাকবে না বলে জানিয়ে দিচ্ছেন খন্দকার আনোয়ারুল। বলেন, ‘এবার মুভমেন্ট পাস থাকবে না। তবে কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবে না।’
কঠোর বিধিনিষেধের সময় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নিয়ে সরকারের ভাবনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আজকে ক্যাবিনেট মিটিংয়ে এ বিষয়ে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়কে ক্লিয়ারলি ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দেয়া হয়েছে। সোশ্যাল সেফটি নেটের আওতায় যথাসম্ভব, গত বছর যেভাবে করা হয়েছিল সেরকম একটি প্রোগ্রাম চক আউট করে, বিশেষ করে শহর এলাকায় বেশি প্রবলেম হয়, সেগুলোর জন্য যেন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।’
কঠোর এই বিধিনিষেধ আরও বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা প্রশ্ন রাখা হয় মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যেটা এক্সপেরিয়েন্স সেটা হল গত ১৫/২০ দিনে, আমরা যেটা সুপারভাইজ করছি, যেসব এলাকায় আমরা, যেমন চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্ট্রিক্টলি লক করে দেয়াতে কমে গেছে, সাতক্ষীরায় কমে গেছে, যেখানে যেখানে কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে, সেখানে কমেছে। সাতদিন পর সরকার যদি মনে করে আরও সাতদিন যেতে হবে, সেটা বিবেচনায় আছে।’