বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা না দেয়ার ইঙ্গিত

  •    
  • ২৮ জুন, ২০২১ ১৪:৫২

করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শাটডাউন প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটিও জাতির জন্য একটি দুর্যোগ। ফলে এই দুর্যোগের সময় তাদের সহযোগিতা যেখানে প্রয়োজন হয়, সেখানে নেয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব হচ্ছে আইন প্রয়োগ করা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তো ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া হয় না।’

শাটডাউন বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিজিবি ও সেনাসদস্যদের মোতায়েন করা হলেও তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি বা বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হবে কি না, সে প্রশ্নে পরিষ্কার জবাব দেননি তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া হয় না।

সচিবালয়ে সোমবার দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

শাটডাউন বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানো হলে তাদের বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হবে কি না, তা জানতে চাওয়া হয় মন্ত্রীর কাছে।

জবাবে তিনি বলেন, ‘যেখানে প্রয়োজন সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যদের...সেনাবাহিনীর সদস্যরা তো দেশ রক্ষার কাজই করে। বিভিন্ন দুর্যোগ-দুর্বিপাকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সব সময় পালন করে আসছে।

‘এটিও জাতির জন্য একটি দুর্যোগ। ফলে এই দুর্যোগের সময় তাদের সহযোগিতা যেখানে প্রয়োজন হয়, সেখানে নেয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব হচ্ছে আইন প্রয়োগ করা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তো ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া হয় না।’

জনগণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে লকডাউন বা শাটডাউন কোনোটার প্রয়োজন হতো না বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘যেহেতু জনগণ সেটি ঠিকমতো অনুসরণ করেনি, তাই সে জন্য আমাদের কঠোর লকডাউনে যেতে হচ্ছে। এবার যদি এটির কেউ ব্যত্যয় ঘটায়, তাহলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

২৮ জুন থেকে শাটডাউনের কথা বলে সরকার কেন অবস্থান থেকে সরে গেল, তা জানতে চাওয়া হয় মন্ত্রীর কাছে।

তিনি বলেন, ‘যেহেতু জনগণ যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা প্রয়োজন ছিল সেভাবে মানছে না, বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর মধ্যে আগে যে ভীতিটি ছিল, করোনা নিয়ে ভীতিটা এখন আর নেই, যে কারণে করোনা দ্রুত ছড়াচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটেই সরকারের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে সোমবার থেকে লকডাউনের কথা বলা হয়েছিল।

‘কিন্তু পরবর্তী সময়ে যেহেতু অর্থবছরের ৩০ তারিখ শেষ হতে যাচ্ছে, সেই বিবেচনায় পরিপূর্ণ লকডাউনের পরিবর্তে কিছু বিধিনিষেধ বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত আরোপ করা হয়েছে। পুরোপুরি গণপরিবহন বন্ধ করা হয়েছে। স্বল্পসংখ্যক মানুষকে অফিস করার কথা বলা হয়েছে।’

শাটডাউন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১ তারিখ থেকে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এবারে লকডাউন কার্যকর করার জন্য সরকার পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবি এবং সেনাবাহিনীকেও প্রয়োজনীয় জায়গায় মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

‘সরকার শুরু থেকে জীবন রক্ষা ও জীবিকা রক্ষার মধ্যে সমন্বয় করে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করেছে বলে করোনাকে অনেক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট যেটাকে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বলা হচ্ছে, সেটি আসার কারণে আমাদের দেশে করোনা দ্রুত ছড়াচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যা ও অতীতের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।

‘সে কারণে সরকার কিছু বিধিনিষেধ প্রাথমিকভাবে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে আরোপ করেছে। পরবর্তী সময়ে ঢাকার চারপাশের জেলাগুলোতে আরোপ করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর