বরখাস্তকৃত ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপাল বনিককে কেন জামিন দেওয়া হয়েছে, বিচারকের কাছে তার ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাকে ৮০ লাখ টাকাসহ হাতেনাতে ধরেছিল।
হাইকোর্ট আগামী সাত দিনের মধ্যে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনকে এ জামিনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে। সোমবার বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
একইসঙ্গে পার্থ গোপাল বনিককে ‘অস্বাভাবিকভাবে’ জামিন দেওয়ার বিষয় নিয়ে চ্যানেল ২৪ এ প্রচারিত প্রতিবেদনের ভিডিও ক্লিপ আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও বিষয়টি আদালতের নজরে আনা আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাইকোর্ট যেখানে ছয় মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন, সেখানে বিচারিক আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। কোন বিবেচনায় তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে আদালত। আগামী সাত দিনের মধ্যে বিচারককে ব্যাখ্যা দিতে হবে। আর চ্যানেলটোয়েন্টিফোরের প্রতিবেদনটি দাখিল করতে বলা হয়েছে।’
২০১৯ সালের ২৮ জুলাই বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির ভুতের গলিতে পার্থ গোপাল বণিকের বাসায় অভিযান চালিয়ে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করে দুদক। এর আগে দুদকের সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের পরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফের নেতৃত্বে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পার্থ গোপাল বণিককে।
পরে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্থ গোপাল বণিককে গ্রেপ্তারের দিন থেকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত জানায়।