প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরাও কম সুদে বাড়ি নির্মাণ কিংবা ফ্ল্যাট কিনতে ঋণ সুবিধা পাবেন। ঋণের পরিমাণ সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা। সুদ হার হবে ৫ শতাংশ। মাসিক কিস্তিতে বিশ বছর মেয়াদে এ ঋণ শোধ করতে হবে।
অর্থমন্ত্রণালয় রোববার এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে, যা কার্যকর হবে ১ জুলাই ২০২১ সাল থেকে।
বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীরা বাড়ি-ঘর তৈরি কিংবা ফ্ল্যাট কিনতে কম সুদে ঋণ পাচ্ছেন। এখন নতুন করে বিচারপতিদের একই সুবিধা দেয়া হল।
কীভাবে এ ঋণ বিতরণ করা হবে সে বিষয়ে একটি নীতিমালা জারি করেছে অর্থবিভাগ।
বর্তমানে দেশে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের সংখ্যা শতাধিক। তাদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা আছে।
প্রধান বিচারপতির ‘মূল বেতন এখন ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। আর বিচারপতিদের মূল বেতন ৯৫ হাজার টাকা। এর বাইরে বিভিন্ন ভাতাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন তারা।
অর্থমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে ঋণগ্রহিতাকে ভবনের নকশায় রাজউকের অনুমোদন দেখাতে হবে। বাড়ি বা ফ্ল্যাটটি হতে হবে দায়মুক্ত।
বাড়ি বানানোর ক্ষেত্রে চার ধাপে ঋণ দেয়া হবে। আর যদি ফ্ল্যাট কিনতে চান, তা হলে পুরো টাকা একসঙ্গে ছাড় করা হবে। তবে ফ্ল্যাটটি হতে হবে সম্পূর্ণ প্রস্তত বা ‘রেডি’।
সরকার নির্ধারিত বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে বিচারপতিদের ঋণ বিতরণ করা হবে। এর বাইরে হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনও ঋণ দিতে পারবে।
যেসব ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ দেয়া হবে সেগুলো হলো: সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংক। এর বাইরে ইসলামি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, টাস্ট্র ব্যাংক ও কমিউনিটি ব্যাংকও ঋণ বিতরণ করতে পারবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, যাদের চাকরির বয়স কমপক্ষে এক বছর হয়েছে, তারা ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাদের একটি অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
সেই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ঋণগ্রহিতার বেতন-ভাতা, পেনশন এবং গৃহনির্মাণ ও ফ্ল্যাট ক্রয়ের ঋণ বিতরণের কিস্তি আদায় সংক্রান্ত সব কাজ পরিচালিত হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রকতপক্ষে এই ঋণের বিপরীতে মোট সুদ ৯ শতাংশ। এর মধ্যে ৫ শতাংশ দেবে ঋণগ্রহিতা বিচারপতিরা। অবশিষ্ট ৪ শতাংশ দেবে সরকার সুদ-ভর্তুকি হিসেবে।