আগের বছরের মতো এবারও সম্পূর্ণ দেশীয় গবাদিপশু দিয়ে কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে চাহিদার চেয়ে বেশী পশু রয়েছে। তাই গবাদিপশু আমদানির কোনও প্রয়োজন নেই। সীমান্ত পথে বিদেশ থেকে অবৈধভাবে যাতে গবাদিপশু আসতে না পারে সে ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে কোরবানিতে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘এবছর কোরবানির ব্যবস্থাপনা অন্যান্য বছরের তুলনায় আরও সুশৃঙ্খল হবে। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যাতে কোরবানি করা হয় সে জন্য স্থানীয় সরকার ইউনিটসহ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মাঠ প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করবে।
‘প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করবে। কোন এলাকায় প্রয়োজন হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে। কোনভাবেই শৃঙ্খলা যাতে ভঙ্গ না হয় সেজন্য যেখানে যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেটা করা হবে।’
রোববার বিকেলে আসন্ন ঈদ-উল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর চাহিদা নির্ধারণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ পরিবহণ নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোরবানির পশু পরিবহনে যাতে ফেরিতে বা রাস্তায় সমস্যা সৃষ্টি না হয় সে বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করা হবে। পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে সড়কে চাঁদাবাজি অথবা ফেরি ঘাটে দীর্ঘ সময় আটকে থাকা অথবা অন্য কোনভাবে সমস্যা যাতে না হয়, সে জন্য সকল ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
‘প্রয়োজনবোধে প্রতিকূল অবস্থার তাৎক্ষণিক সমাধানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে মনিটরিং সেল থাকবে এবং কন্ট্রোল রুম চালু করা হবে। খামারিদের চাহিদা অনুযায়ী সড়ক পথের পাশাপাশি রেলের মাধ্যমে পশু পরিবহনের ব্যবস্থা করা হবে।’
কোরবানির ব্যবস্থাপনা করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোরবানি দিতে গিয়ে ভয়ংকর পরিস্থতির ভিতরে কেউ না পড়ুক, এটা আমরা চাইব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান করোনা মহামারির মধ্যে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কোরবানিসহ অন্যান্য ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা চালিয়ে নিতে।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মো. ইমদাদুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরের প্রতিনিধিরা এবং ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া বিভাগীয় কমিশনাররা, জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাগণ সভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।