বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তালাকনামায় আপত্তিকর শব্দ কেন বেআইনি নয়: হাইকোর্ট

  •    
  • ২৭ জুন, ২০২১ ১৮:০৭

রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, নোটিশের বাজে ধরনের শব্দের ব্যবহার একজন নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর। পরবর্তী সময়ে বিয়ে করার ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলোতে নানা ধরনের জটিলতার মুখে পড়তে হয়।

তালাক নোটিশে স্ত্রীর ব্যাপারে আপত্তিকর শব্দ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়। আইনসচিব ও নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শককে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

তালাকনামায় স্ত্রী সম্পর্কে বিভিন্ন আপত্তিকর শব্দ বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে গত ২ জুন আদালতে রিট আবেদনটি করেন রাজধানীর বড় মগবাজার এলাকার বাসিন্দা রাখী কে জামান, যিনি বর্তমানে কানাডার উইন্ডসর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত।

আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল নোমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, নোটিশের বাজে ধরনের শব্দের ব্যবহার একজন নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর। পরবর্তী সময়ে বিয়ে করার ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলোতে নানা ধরনের জটিলতার মুখে পড়তে হয়।

রিট আবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে রাকিব মুক্তাদির জোয়ারদারের সঙ্গে বিয়ে হয় রাখী কে জামানের। বিয়ের কয়েক বছরের পর ২০১৭ সালে অক্টোবর রাখীকে তালাক নোটিশ পাঠান স্বামী রাকিব মুক্তাদির জোয়ারদার। তার তালাক নোটিশের একাংশে বলা হয়, ‘স্ত্রী স্বামীর অবাধ্য, যাহা শরীয়তের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তাহার উক্ত চাল-চলন পরিবর্তন করার জন্য আমি নিজেই বহুবার চেষ্টা করিয়াছি। কিন্তু অদ্যাবধি তাহার কোনো পরিবর্তন সাধিত হয় নাই।’

রিটে বলা হয়, মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৬১ এবং মুসলিম বিয়ে এবং তালাক (নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৪ অনুযায়ী এ ধরনের শব্দের ব্যবহার স্পষ্টভাবে নারীর মানবাধিকার ও তার মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে। সেই সঙ্গে সংবিধানের ২৭, ২৮ এবং ৩২ অনুচ্ছেদেরও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এ বিভাগের আরো খবর