বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী গোলাম মোর্শেদ আর নেই

  •    
  • ২৭ জুন, ২০২১ ১০:৫০

১৯৪৫ সালের দিকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয় কলকাতায়। এরপর থেকেই ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। ১৯৫৩ সালে যশোর সদর মহকুমা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন তিনি। ১৯৬৪ সাল থেকে ঢাকায় অবস্থান করে তিনি বঙ্গবন্ধুর সহযোগী হিসেবে কাজ করতে থাকেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী গোলাম মোর্শেদ আর নেই।

বার্ধক্য ও শ্বাসকষ্টজনিত কারণে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই শনিবার মধ্যরাতে তার মৃত্যু হয়েছে।

গোলাম মোর্শেদের আত্মীয় যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনির নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মনিরুল বলেন, গোলাম মোর্শেদের জানাজা ও দাফন তার পৈতৃক বাড়ি যশোর বেনাপোলের বাহাদুরপুরে রোববার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ সেখানে নেয়া হয়।

বাহাদুরপুর গ্রামেই জন্ম গোলাম মোর্শেদের। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আসাদগেট এলাকায় নিজ বাড়িতে বসবাস করেছেন গত ৩০ বছর।

১৯৪৫ সালের দিকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয় কলকাতায়। এরপর থেকেই ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। ১৯৫৩ সালে যশোর সদর মহকুমা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন তিনি। ১৯৬৪ সাল থেকে ঢাকায় অবস্থান করে তিনি বঙ্গবন্ধুর সহযোগী হিসেবে কাজ করতে থাকেন।

১৯৭১ সালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন গোলাম মোর্শেদ।

গত বছর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় গোলাম মোর্শেদ বলেছিলেন, “১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বসে কথা বলছিলাম। একজনের সঙ্গে আমি টেলিফোনে কথা বলার সময় হঠাৎই একটি শব্দ কানে আসে ‘মাত মারো।’ পেছনে তাকানোর আগেই মাথায় প্রচণ্ড আঘাত, সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারিয়ে মেঝেতে পড়ে যাই। জ্ঞান ফিরে নিজেকে দেখতে পাই ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট হাসপাতালে।

“সেখান থেকে এয়ারফোর্সের একটি শেডে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুটা সুস্থ হয়েই জানতে চাই, বঙ্গবন্ধু কোথায়? আমাকে তার কাছে নিয়ে যাও। এ কথা বলতেই আমার ওপর চলে দফায় দফায় নির্মম নির্যাতন। দীর্ঘ আট মাস পর জেল থেকে ছাড়া পাই।”

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু তাকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী (অবৈতনিক) হিসেবে নিয়োগ দেন। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সেই দায়িত্ব পালন শেষে তিনি পরিবার নিয়ে চলে যান যশোরের নিজ গ্রামে।

এ বিভাগের আরো খবর