বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সোমবারের আগে বাড়ি ফেরার চাপ ফেরিঘাটে

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৭ জুন, ২০২১ ১০:০৬

জরুরি ও পণ্যবাহী যান পারাপারের জন্য ফেরি চালু রাখা হলেও তাতে যাত্রীর চাপে যানবাহনই উঠতে পারছে না। কিছু ব্যক্তিগত গাড়িও উঠছে ফেরিতে।

সাত জেলায় চলা কঠোর লকডাউনের মধ্যে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার পর্যন্ত নৌপথে ফেরিতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দুই ঘাটেই ঢাকা ও দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীরা রোববার ভোর থেকে ফেরিতে নদী পাড়ি দিচ্ছেন।

সরকার সোমবার থেকে সারা দেশে শাটডাউনের ঘোষণা দেয়ায় বাড়ি ফিরতে মানুষ ফেরিতে ভিড় শুরু করে শুক্রবার থেকেই। শনিবার রাতে নতুন ঘোষণায় শাটডাউনের শুরু পিছিয়ে বৃহস্পতিবার করা হলেও সোমবারকে মাথায় রেখে বাড়ি ফিরতে প্রস্তুত যাত্রীরা ঘাটে ভিড় করছেন।

জরুরি ও পণ্যবাহী যান পারাপারের জন্য ফেরি চালু রাখা হলেও তাতে যাত্রীর চাপে যানবাহনই উঠতে পারছে না। কিছু ব্যক্তিগত গাড়িও উঠছে ফেরিতে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাফায়েত আহমেদ বলেন, ‘এই নৌপথে এখন চলছে ১৫টি ফেরি। সকাল থেকে যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। তবে গাড়ির চাপ নেই।

‘নিয়ম অনুযায়ী লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি পারাপারের কথা থাকলেও যাত্রীরা ঘাটে আসছে। যাত্রী নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব আমাদের নয়। জোর করে প্রতিটি ফেরিতে যাত্রীরা উঠে যায়।’

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক জাকির হোসেন জানান, লকডাউনের নির্দেশনা মানতে যাত্রীদের আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু যাত্রীরা বিভিন্নভাবে ঢাকা থেকে ঘাটে আসছেন। আবার বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসা যাত্রীরা ঢাকা যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।

মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটের অর্ধকিলোমিটার দূরে বাংলাবাজার মোড়ে রোববার সকালে চেকপোস্ট বসিয়ে ঘাটে আসা যাত্রীবাহী গাড়ি আটকে দিতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। যাত্রীরা সেখান থেকে হেঁটে ঘাটে ঢুকছেন।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, শিমুলিয়া থেকে অসংখ্য যাত্রী বাংলাবাজার ঘাটে নামছেন। যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় ফেরিতে যানবাহনের সংখ্যা কম রয়েছে। তবে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় কিছুটা কমেছে বাংলাবাজার ঘাটে।

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাংলাবাজার ঘাটে নেমে থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত অটোবাইকে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা।

পটুয়াখালীর যাত্রী মো. কাইয়ূম বলেন, ‘কয়েক দিন পরপর লকডাউন আর ভালো লাগে না। ঢাকার উত্তরা থেকে অনেক কষ্ট করে ঘাট পর্যন্ত এসেছি। আগে ঘাট থেকে ২০০ টাকা দিয়ে বাড়ি যাওয়া যেত। এখন প্রায় ৮০০ টাকা খরচ হবে।’

ঢাকা থেকে খুলনাগামী যাত্রী শাহ আলম বলেন, ‘সামনে বড় লকডাউন। ঢাকায় থেকে কী করব? বাসাবন্দি হয়েই তো থাকতে হবে। তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি। বাড়ি যাই দেখি কী করা যায়।’

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার কালু মিয়া জানান, শাটডাউনের ঘোষণা আসায় তার ডেকোরেশনের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। এ জন্য ঈদের আগেই বাড়ি যাচ্ছেন।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের সহ-ব্যবস্থাপক সামসুল আবেদীন বলেন, ‘সকাল থেকেই ঘরমুখী মানুষের চাপ বেশি। জরুরি প্রয়োজনে শুধু রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও কাঁচা পণ্য পারাপার হচ্ছে। তবে যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় জরুরি পরিবহন পারাপার করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর