ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার থেকে হেমায়েতপুর পর্যন্ত আট কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজট এখন আর নেই। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে আমিনবাজার থেকে গাড়িগুলোকে ঢাকায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এতে রোববার সকাল থেকে সাভারের দিকে যান চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে।
এর আগে সাভারের আমিনবাজার থেকে হেমায়েতপুর পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আট কিলোমিটারে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
শনিবার বিকেল থেকেই এ সড়কে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। সন্ধ্যার পর দেখা দেয় তীব্র যানজট। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালকরা। গভীর রাত পর্যন্ত এ যানজট ছিল।
পুলিশ জানায়, লকডাউনে রাজধানীর ভেতর বাস ঢোকা ও বের হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় সব গাড়ি আমিনবাজার থেকে ঘুরিয়ে সাভারমুখে পাঠানো হয়েছে। এ কারণেই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা থেকে সাভারের উদ্দেশে প্রাইভেটকারে রওনা দেয়া নাজমুল হুদা জানান, গাবতলী থেকে আমিন বাজার সালেহপুর সেতু পার হতে তার দুই ঘণ্টা লেগেছে।
আমিনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আব্দুর সবুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমিনবাজার থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে সাভারমুখে পাঠানো হচ্ছে। ঢাকায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। আর গাড়ি ঘোরাতে একটু সময় লাগছে, যার কারণে ঢাকার ইনকামিংয়ে দেরি হচ্ছে।
‘যখন গাড়ি ঘুরাচ্ছে তখন আউটগোয়িং সাভারের দিকেও চাপ বাড়ছে। এ কারণেই যানজট লেগেছে। মহাসড়কে দূরপাল্লার গাড়ি নেই। তবে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, পণ্যবাহী গাড়ি আছে।’
ট্রাফিক পুলিশের মিরপুর জোনের এডিসি সোহেল রানা বলেন, ‘রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যাম। গাবতলী ব্রিজের ওপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকা শেষ। ঢাকা জেলার গাড়িগুলো আমরা ডিএমপি সীমানায় নিচ্ছি না। এ কারণে গাড়িগুলো আমিন বাজার থেকে ইউ-টার্ন করানো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকার যাত্রীরা গাড়ি থেকে নেমে ওপারে হেঁটে, রিকশা, অটো, ভ্যানসহ নানা পরিবহনে যাচ্ছে। ওপারে একটা ময়লা ফেলার ডিপো আছে। সিটি করপোরেশনের গাড়িগুলো জ্যাম দেখে তারা উল্টা-পাল্টা আসতেছে।’