ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি আবাসিক হলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের অবস্থানের খবর পেয়ে মধ্যরাতে অভিযান চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যায় অবস্থানকারীরা৷ ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
তবে অবস্থান করা দুইটি হলের ছয়টি রুম সিলগালা করা হয়। সিলগালা হওয়া রুমগুলো হলো, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের- ৩০১, ৩০২ ও ৩০৩ নং রুম। সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ২৫, ২৯ ও ৩৯ রুম।
শনিবার রাত পৌনে ১২টায় অভিযান শুরু হয়। শেষ হয় রাত ১টায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে অভিযান চালানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন দুই হলের প্রভোস্ট, হাউজ টিউটর, প্রক্টরিয়াল টিম এবং শাহবাগ থানা পুলিশ।
এ সময় কাউকে পাওয়া না গেলেও হলে অবস্থান করার আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড এ কে এম গোলাম রাব্বানী।
অভিযানের বিষয়ে প্রক্টর বলেন, ‘আমি নিজে অবস্থান করে হল প্রভোস্টদের উপস্থিতে দুইটি হলে অভিযান চালিয়েছি। দুই হলের তিনটি করে ছয়টি রুম সিলগালা করা হয়েছে।’
‘জহুরুল হক হলে আমাদের অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। তবে তাদের উপস্থিতির আলামত আমরা পেয়েছি, বাতিও জ্বালানো ছিল। আর সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে একজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে পাওয়া গেছে। প্রভোস্টকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘হলের যেসব রুম অবস্থানের আলামত পাওয়া গেছে সেগুলো সিলগালা করা হয়েছে। আমরা কঠোর অবস্থানে আছি।’
সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের হলে কেউ অবস্থান করেনি। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী তালা দেয়ার কারণে বের হতে না পারায় অবস্থান করে। তাকে বের করে দেয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টায় হল গেইট বন্ধ করে দেয়া হয়। আমরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি।’