বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চলে গেলেন জেয়াদ আল মালুম

  •    
  • ২৭ জুন, ২০২১ ০১:০১

২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য অ্যাডভোকেট জেয়াদ আল মালুম প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান। সেই থেকে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযম ও মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে করা মামলার বিচারে রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে অনন্যসাধারণ ভূমিকা রাখা আইনজীবী জেয়াদ আল মালুম আর নেই। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই প্রসিকিউটর কিছুক্ষণ আগে মারা গেছেন।

তার মৃত্যুর খবর নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সিনিয়র কনসালটেন্ট মেহেদী মাসুদ।

রাত পৌনে একটায় সিএমএইচে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়া হয়।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

জেয়াদ আল মালুম গত ২৫ মে রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে গত ২ জুন তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।

২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য মালুম প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান। সেই থেকে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

তিনি জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযম ও মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজনের বিচারে রাষ্ট্রপক্ষে জোড়াল বক্তব্য রাখেন।

জেয়াদ আল মালুমের জন্ম টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার করোটিয়া গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। ঢাবিতে পড়াকালীন সময়ে ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেছেন। জেয়াদ আল মালুম ছাত্রজীবন শেষে ১৯৮৩ সালে ঢাকা জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে পেশা শুরু করেন। তিনি ১৯৮৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য পদ পান। এরপর ১৯৯৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভূক্ত হন।

এ বিভাগের আরো খবর