করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সোমবার থেকে দেশজুড়ে শাটডাউনের সিদ্ধান্ত আরও তিন দিন পিছিয়েছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে শাটডাউন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে শনিবার রাতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার।
তিনি বলেন, ‘সোমবার (২৮ জুন) থেকে সীমিতভাবে কার্যকর হবে লকডাউন। সীমিতভাবে মানে যানবাহন, দোকানপাট, রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি সীমিতভাবে চলবে। আর বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সাত দিনের কঠোর লকডাউন হবে।’
সভায় আলোচনার বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি সুরথ কুমার। তবে তিনি বলেন, ‘মূলত জুন ফাইনালের জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন সীমিত রাখা হয়েছে।
‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভা হয়েছে একটা। এটা নিয়ে কোনো ব্রিফ হবে না। রোববার সরাসরি প্রজ্ঞাপনে জানানো হবে।’
সরকার কঠোর লকডাউন বললেও এবারের বিধিনিষেধ পরিচিতি পেয়েছে ‘শাটডাউন’ হিসেবে।
এ সময়ে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে যানবাহন এবং জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া বন্ধ থাকবে সব ধরনের যান চলাচল।
সাধারণ মানুষের চলাচলের ওপরও থাকবে নিষেধাজ্ঞা। সরকারিভাবে বলা হচ্ছে, জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না কেউ। তবে গণমাধ্যমের কর্মীরা কঠোর লকডাউনের বাইরে থাকবেন।
কেমন হবে শাটডাউন?
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন শুক্রবার শাটডাউনের রূপ নিয়ে কথা বলেন নিউজবাংলার সঙ্গে। তিনি ইঙ্গিত দেন, ২০২০ সালের মার্চে শুরু হওয়া অঘোষিত লকডাউনের অবস্থা এবারও বিরাজ করবে দেশজুড়ে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাইব সে রকমভাবে, যাতে প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে বাইরে আসতে না হয়, সে বিষয়টি মাথায় নিয়ে আমরা করতে চাই। সে ধরনের চিন্তাভাবনা আমাদের আছে।’
সরকারের এমন পরিকল্পনার সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেভাবে বেড়ে (করোনা সংক্রমণ) যাচ্ছে, আমরা যদি এই মুহূর্তে এটার রাশ টেনে না ধরি, তাহলে এটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি আছে।’