করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী সোমবার থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। ঘরের বাইরে যাওয়া রোধে প্রয়োজনে এই সময়ে কর্মহীনদের খাদ্য সহায়তা দেয়ার প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে।
লকডাউন নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপনের পরই অসহায়দের ত্রাণ দেয়ার বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হবে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ সচিব মো. মহসিন।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সে জন্য প্রস্তুতি থাকবে। দেখা যাক, এক্সাক্টলি প্রজ্ঞাপণটা কী হয়। অবশ্যই লকডাউনের সাথে মানুষের কর্মহীন হওয়ার একটা সম্পর্ক আছে। তবে কী পরিমাণ দেব সেটা এই মুহূর্তে নয়। আমরা সব অপসন প্রস্তুত রেখেছি। আমরা প্রস্তুত আছি, যাতে মানুষের অসুবিধা না হয়।’
সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার শুক্রবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, করোনার সংক্রমণ রোধে আগামী সোমবার থেকে সারা দেশে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন থাকবে। সরকার থেকে কঠোর লকডাউন বা বিধিনিষেধ বলা হলেও সব মহলে এটি পরিচিতি পেয়েছে ‘শাটডাউন’ নামে।
শাটডাউনের সময়টায় জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ থাকবে সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন এবং জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া বন্ধ থাকবে সব ধরনের যান চলাচল।
এর আগের বিধিনিষেধ ও লকডাউনেও দেখা যায় বেশি সংকটে পড়েন নিম্ন আয়ের মানুষ। বিশেষ করে যারা দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে কাজ করেন তাদের জীবনধারণ দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। আসছে শাটাডাউনে সবকিছু বন্ধ হয়ে গেলে ফের সংকটে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, শাটডাউনে সব শ্রেণির মানুষকে ঘরে রাখতে চায় সরকার। প্রয়োজনে শ্রমজীবী মানুষকে সহযোগিতা করা হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যখন অফিস-আদালতে আসার প্রয়োজন হবে না তখন সে ঘরে থাকবে। যারা যারা বাইরে আসছেন নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের জন্য আমাদের কিছু সহযোগিতা, খাবারের সহযোগিতা আছে।
‘প্রতিটি উপজেলাভিত্তিক, ইউনিয়নভিত্তিক পরিকল্পনা সরকারের নেয়া আছে। ফলে এই কয়দিনের জন্য যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, চায়ের দোকানদার বা ছোটখাটো হোটেলগুলো আছে সেগুলোর বিষয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা থাকবে। কিংবা সেলুনকর্মী- এ ধরনের যারা দিন এনে দিনে খায় এ রকম যারা আছেন তাদের জন্য আমরা আগেও যেভাবে করেছিলাম, সেভাবে সেটা করতে পারব।’