বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফের অন্ধকার দেখছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা

  •    
  • ২৬ জুন, ২০২১ ০৯:০১

শাটডাউনের খবরে মুহূর্তেই হতাশার ছায়া নেমে আসে পরিবহন সেক্টরে। ঢাকার আশপাশের ৪ জেলাসহ ৭টি জেলায় কঠোর লকডাউন চলমান থাকায় এমনিতেই গণপরিবহনের চলাচল অনেকটা সীমিত। তার ওপর সারা দেশে শাটডাউন যেন নির্বাক করে দিয়েছে গণপরিবহন খাতের মালিক-শ্রমিকদের।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে যে কয়েকটি খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম গণপরিহন। সোমবার থেকে সারা দেশে সরকার ‘শাটডাউন’ ঘোষণা দেয়ায় আবারও অন্ধকার দেখছেন এ খাতের মালিক-শ্রমিকরা।

পরিবহনশ্রমিকরা বলছেন, তাদের সমস্যা প্রকট। অধিকাংশের মজুরি দৈনিকভিত্তিক। বাস-লঞ্চ না চললে মজুরি পাওয়া যায় না। সংসার চালাতে হয় ধারদেনা করে।

মালিকরা বলছেন, গত বছর থেকেই পরিবহন সেক্টরে সংকট যাচ্ছে। কয়েক দফায় সবকিছু বন্ধ থাকার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার সুযোগ আসতে না আসতেই আবার সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকগুলোতে দেনা বাড়ছে। সরকার প্রণোদনা দেবে বললেও তা শুধু আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থাকছে।

সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার শুক্রবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, করোনার সংক্রমণ রোধে আগামী সোমবার থেকে সারা দেশে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন থাকবে। সরকার থেকে কঠোর লকডাউন বা বিধিনিষেধ বলা হলেও সব মহলে এটি পরিচিতি পেয়েছে ‘শাটডাউন’ নামে।

শাটডাউনের সময়টায় জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ থাকবে সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে যানবাহন এবং জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া বন্ধ থাকবে সব ধরনের যান চলাচল।

এমন খবরে মুহূর্তেই যেন হতাশার ছায়া নেমে আসে পরিবহন সেক্টরে। ঢাকার আশপাশের ৪ জেলাসহ ৭টি জেলায় কঠোর লকডাউন চলমান থাকায় এমনিতেই গণপরিবহনের চলাচল অনেকটা সীমিত। তার ওপর সারা দেশে শাটডাউন যেন নির্বাক করে দিয়েছে গণপরিবহন খাতের মালিক-শ্রমিকদের।

এ খবরে হতাশা প্রকাশ করেছেন সৌখিন পরিবহনের সুপারভাইজার রঞ্জু। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমাদের কপালই খারাপ। কয়দিন গাড়ি চলল, এহন আবার বন্ধ। চলমু কেমনে। জানি না কী হয়।’

লালন পরিবহন ও পাটগ্রাম পরিবহনে ৮টি গাড়ি রয়েছে মালেক মিয়ার। চালক, হেলপার, সুপারভাইজারসহ ৪০ জনের মতো জনবল রয়েছে তার অধীনে। গাড়ি বন্ধ থাকলেও শ্রমিকদের বেতন দিতে হবে বলে জানালেন মালেক।

‘এই শ্রমিকরাই আমার মূল শক্তি। তাদের ছাঁটাই করি না। বেতন দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কত দিন দিতে পারব জানি না।’

আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের কোনো সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানালেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা নিজ উদ্যোগে শ্রমিকদের সহায়তা করছি। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কিছু পাওয়া যাচ্ছে না। করোনায় আমরা পরিবহন সেক্টরের লোকজন অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’

একই অবস্থা নৌপরিবহন সেক্টরে। ঢাকার আশপাশসহ ৭টি জেলায় কঠোর লকডাউনের কারণে একরকম বসে সময় কাটছে এই খাতের শ্রমিকদের।

শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিয়ে চালিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের কাছে ৪০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এখনও কিছু জানায়নি। যে কারণে নিরুপায় হয়ে থাকতে হচ্ছে লঞ্চ মালিকদেরও।

লঞ্চ মালিকদের সংগঠনের মহাসচিব সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের কিছুই করার নেই। সরকার যখন যে সিদ্ধান্ত দিচ্ছে, আমরা মেনে চলছি। কিন্তু আমাদের কিছুটা সোজা হয়ে দাঁড়াতে সরকারের সহায়তা পাচ্ছি না। শ্রমিকদের বেতন বাবদ কিছু টাকা চাওয়া হয়েছে। সেটার ব্যাপারেও কোনো সিদ্ধান্ত নেই। আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর