বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সোমবার থেকে শাটডাউন

  •    
  • ২৫ জুন, ২০২১ ২০:৫২

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সোমবার থেকে পরবর্তী ৭ দিন পর্যন্ত সারা দেশে কঠোর লকডাউন পালন করা হবে। এ সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে যানবাহন এবং জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া বন্ধ থাকবে সব ধরনের যান চলাচল।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে চলমান বিধিনিষেধ অকার্যকর হয়ে যাওয়ায় আরও কঠোর অবস্থানে গেল সরকার। আগামী সোমবার থেকে ৭ দিনের জন্য সকল অফিস-আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

এটাকে সরকার কঠোর লকডাউন বললেও পরিচিতি পেয়েছে ‘শাটডাউন’ হিসেবে।

সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার রাত পৌনে ৯টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে সোমবার থেকে পরবর্তী ৭ দিন পর্যন্ত সারা দেশে কঠোর লকডাউন পালন করা হবে। এ সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে যানবাহন এবং জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া বন্ধ থাকবে সব ধরনের যানবাহন চলাচল।

সাধারণ মানুষের চলাচলেও আরোপ করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না কেউই। তবে গণমাধ্যমকে কঠোর লকডাউনের বাইরে রাখা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শনিবার এ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেখানে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত থাকবে।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের তীব্র সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরে ঈদুল আজহার আগে ‘স্বস্তিকর পরিবেশ’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত ‘শাটডাউন’ ঘোষণা করতে চায় সরকার।

তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এল শাটডাউনের ঘোষণা।

কেমন হবে শাটডাউন?

শাটডাউনের রূপ কেমন হবে জানতে চাওয়া হয় প্রতিমন্ত্রীর কাছে। ইঙ্গিত দিলেন, ২০২০ সালের মার্চে শুরু হওয়া অঘোষিত লকডাউনের অবস্থা বিরাজ করবে দেশজুড়ে।

তিনি বলেন, ‘আমরা চাইব সেরকমভাবে, যাতে প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে বাইরে আসতে না হয়, সে বিষয়টি মাথায় নিয়ে আমরা করতে চাই। সে ধরনের চিন্তাভাবনা আমাদের আছে।’

সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত বন্ধ রাখার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো আমাদের চিন্তাভাবনার মধ্যে আছে। যাতে অফিস-আদালত বন্ধ থাকে কিছুদিনের জন্য। এ রকম একটি চিন্তা বা পরিকল্পনা আমাদের আছে। যাতে করে আমরা সার্বিকভাবে, সর্বাত্মকভাবে গতিবিধিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। সকলেই যাতে আমরা ঘরে থাকতে পারি।’

সরকারের এমন পরিকল্পনার সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেভাবে বেড়ে (করোনা সংক্রমণ) যাচ্ছে আমরা যদি এই মুহূর্তে এটার রাশ টেনে না ধরি, তাহলে এটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি আছে।’

শ্রমজীবীদের জন্য থাকছে সুবিধা

শাটডাউনে সব শ্রেণির মানুষকে ঘরে রাখতে চায় সরকার। প্রয়োজনে শ্রমজীবী মানুষকে সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘যখন অফিস-আদালতে আসার প্রয়োজন হবে না তখন সে ঘরে থাকবে। এবং যারা যারা বাইরে আসছেন নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের জন্য আমাদের কিছু সহযোগিতা, খাবারের সহযোগিতা আছে।’

শ্রমজীবী মানুষ নিয়ে সরকারের ভাবনার কথাটাও জানালেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি উপজেলাভিত্তিক, ইউনিয়নভিত্তিক পরিকল্পনা সরকারের নেয়া আছে। ফলে এই কয়দিনের জন্য যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, চায়ের দোকানদার বা ছোটখাটো হোটেলগুলো আছে সেগুলোর বিষয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা থাকবে। কিংবা সেলুনকর্মী- এ ধরনের যারা দিন এনে দিনে খায় এ রকম যারা আছেন তাদের জন্য আমরা আগেও যেভাবে করেছিলাম, সেভাবে সেটা করতে পারব।’

করোনাভাইরাসের লাগাম টানতে সবার সহযোগিতা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী। বলেন, ‘যেহেতু সংক্রমণ ঊর্ধ্বগামী, যদি চেইনটাকে আমরা ভাঙতে চাই, সেটির গতিকে যদি রোধ করতে চাই, তাহলে আমাদের সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। আগামী কিছুদিন আমাদের বিধিনিষেধগুলো মেনে চলতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর