বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আবার অফিস-আদালত, যানবাহন বন্ধের সুপারিশ

  •    
  • ২৪ জুন, ২০২১ ১৮:২২

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টর সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে সারাদেশেই উচ্চ সংক্রমণ এবং ৫০টির বেশি জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ লক্ষ্য করা গেছে। এটি প্রতিরোধে খণ্ড খণ্ডভাবে নেয়া কর্মসূচির উপযোগিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এ কারণেই নতুন ব্যবস্থা নেয়ার চিন্তা করছে সরকার।

করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশে নতুন করে কমপক্ষে ১৪ দিনের ‘শাট ডাউন’-এর সুপারিশ করেছে করোনায় গঠিত কোভিড-১৯-সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটি।

কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহর সই করা একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এই ১৪ দিন জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়োজন।’

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি শুরু হয়। যা প্রকারান্তে লকডাউনই ছিল। দফায় দফায় ওই ছুটির মেয়াদ বাড়তে থাকে। ৩০ জুন পর্যন্ত চলে সাধারণ ছুটি।

জুনের পর করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে এলে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়। খুলে দেয়া হয় অফিস আদালত। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধই থাকে।

দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে সরকার প্রথমে এ বছর ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোঘণা করে। এ নিষেধাজ্ঞা দফায় দফায় বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৫ জুলাই কার্যকর করার সিদ্ধান্ত রয়েছে।

ঈদুল ফিতরেও বাড়িমুখী যাত্রীদের ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। বাসসহ যাত্রীবাহী গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু কোনো কিছুই তোয়াক্কা করেনি ঘরমুখী মানুষ। যে যার মতো করে বাড়ি ফিরেছেন। লঞ্চঘাটগুলোতে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়।

ঈদযাত্রার তীব্র প্রভাব পড়েছে করোনা সংক্রমণের ওপর। ঈদের আগে দেশে করোনা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সময়ের সঙ্গে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। এছাড়া দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়ার পর সীমান্তে মৃত্যু ও শনাক্ত দুই-ই বেড়েছে।

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়ার পর দেশের সীমান্তবর্তী সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এরপরও করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না এলে ২২ জুন রাজধানীকে ঘিরে রাখা সাত জেলায় শাট ডাউন ঘোষণা করে সরকার। ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করতে এই সাত জেলায় সব অফিস-আদালত ও গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত স্থায়ী হবে ৩০ জুন পর্যন্ত। তবে তারপরও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

এমন বাস্তবতায় আবার নতুন পরামর্শ এল। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশে করোনার ভারতীয় ধরন সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। যে কারণে সীমান্তে এর প্রকোপ অনেক বেশি।

এ প্রজাতির জীবাণুর সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে সারাদেশেই উচ্চ সংক্রমণ এবং ৫০টির বেশি জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ লক্ষ্য করা গেছে। এটি প্রতিরোধে খণ্ড খণ্ডভাবে নেয়া কর্মসূচির উপযোগিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

অন্যান্য দেশ, বিশেষত পার্শ্ববর্তী ভারতের অভিজ্ঞতা হলো, কঠোর ব্যবস্থা ছাড়া এর বিস্তৃতি প্রতিরাধে করা সম্ভব নয়। ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের মতামত অনুযায়ী, যেসব স্থানে পূর্ণ ‘শাট ডাউন’ প্রয়োগ করা হয়েছে সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা গেছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ঠেকাতে এবং জনগণের জীবনের ক্ষতি প্রতিরোধে কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শাটডাউন’ দেয়ার সুপারিশ করেছে। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে আমাদের যত প্রস্তুতিই থাকুক না কেন করোনা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী করোনা টিকা সংগ্রহের জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছেন। এজন্য সভায় তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

করোনা মুক্তির জন্য ৮০ শতাংশের বেশি মানুষকে টিকা দেয়া প্রয়োজন। বিদেশ থেকে টিকা সংগ্রহ, লাইসেন্সের মাধ্যমে দেশে টিকা উৎপাদন করা এবং নিজস্ব টিকা তৈরির জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গবেষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার প্রতি কমিটি পূর্ণ সমর্থন জানায়।

এ বিভাগের আরো খবর