বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আইনের ফেরে আটকে আছে রাজাকারের তালিকা

  •    
  • ২৪ জুন, ২০২১ ১০:১০

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বললেন, চলতি অধিবেশনের পরের অধিবেশনে জামুকা আইনের সংশোধনী উত্থাপন করা হবে। ফলে আরও দুই মাস প্রয়োজন হবে আইনটি পাস হতে।

আইন পাস না হওয়ায় থেমে আছে রাজাকারের তালিকা তৈরির কাজ। তবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানালেন, জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে উত্থাপন করা হবে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০২০।’ সেটি পাস হলে রাজাকারের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হতে আর বাধা থাকবে না।

সংসদে এখন বাজেট অধিবেশন চলছে। একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার পর পরের অধিবেশন ৬০ দিনের মধ্যে শুরু করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই আইনটি পাস হতে অন্তত আরও মাস দুয়েক অপেক্ষায় থাকতে হবে বলেও মনে করছেন তিনি।

যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর রাজাকারের তালিকা তৈরির দাবি জোরালো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

তবে ভুল তথ্যের অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে তালিকাটি। ওই তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নামও স্থান পেতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সমালোচনার মুখে তালিকা প্রত্যাহার করে নেয় মন্ত্রণালয়।

তখনই রাজাকারের তালিকা তৈরি করতে কোনো আইনি কর্তৃপক্ষ না থাকার বিষয়টি সামনে আসে। দেখা দেয় জটিলতা। পরে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) কাছে রাজাকারের তালিকা তৈরির কাজটি ন্যস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ জন্য জামুকা আইন সংশোধনের প্রয়োজন দেখা দেয়।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ২০০২ সালের পৃথক আইনবলে গঠিত একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, যেটির কার্যাবলির মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নও আছে।

গত বছরের ৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজাকারের তালিকা তৈরির বিধান যুক্ত করে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০২০’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

সেদিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্য ছিলেন বা আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য হিসেবে সশস্ত্র যুদ্ধে নিয়োজিত থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন, তাদের একটা তালিকা প্রণয়ন ও গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল।

মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলেও এখনও সংসদ অধিবেশনে উত্থাপন করা হয়নি আইনটি। রাজাকারের তালিকা তৈরির অগ্রগতি নিয়ে জানতে চাইলে আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রিসভায় সেই আইনটা পাস হয়ে গেছে। এখন পার্লামেন্টে উত্থাপনের জন্য অপেক্ষমাণ।’

দেরি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যায় মন্ত্রী বলেন, ‘মহামারির কারণে সংসদ পূর্ণ গতিতে চলছে না। তাই আইনগুলো আসতে একটু দেরি হচ্ছে।’

তবে পরের অধিবেশনে আইনটি উত্থাপন করা হবে বলে আশাবাদী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মাননীয় স্পিকারের কার্যালয় আমাকে আশ্বস্ত করেছে পরবর্তী সেশনে। ৬০ দিনের ব্যবধানে সংসদ বসতে হয়, সেটা বাধ্যতামূলক। পরবর্তী সেশনে ইনশা আল্লাহ এটি আসবে।’

সংসদে আইনটি পাস হলেই রাজাকারের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যদি মাননীয় সংসদ সদস্যরা অধিকাংশ একমত পোষণ করেন, তাহলে পাস হয়ে যাবে। পাস হলেই বাস্তবায়ন হয়ে যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর