বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জামিন পেলেও বিদেশ যেতে পারবেন না ডিআইজি পার্থ

  •    
  • ২৩ জুন, ২০২১ ২২:০৫

ঘুষের ৮০ লাখ টাকাসহ হাতেনাতে ধরা পড়ার ঘটনায় করা মামলায় গত ১৮ জুন জামিন পেয়েছেন পার্থ বণিক। দুদকের আবেদনে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ বিচারাধীন। তিনি বিদেশ চলে যেতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

ঘুষ গ্রহণ ও অর্থপাচার মামলার পর সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) পার্থ গোপাল বণিকের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনে বুধবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ইকবাল হোসেন এ আদেশ দেন। পার্থর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদনটি করেন দুদকের বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজল ।

ঘুষের ৮০ লাখ টাকাসহ হাতেনাতে ধরা পড়ার ঘটনায় করা মামলায় গত ১৮ জুন জামিন পেয়েছেন পার্থ বণিক।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ বিচারাধীন। তিনি বিদেশ চলে যেতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তিনি যাতে বিদেশ যেতে না পারেন সেজন্য পুলিশের বিশেষ শাখাকে (এসবি) নির্দেশ দেয়া জরুরি।

শুনানি শেষে আদালত এসবিকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের নির্দেশ দেয়। সেইসঙ্গে সব বন্দরের ইমিগ্রেশনকে আদেশের অনুলিপি দিতে বলে।

পার্থ গোপাল বণিক গত ১৭ জুন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ইকবাল হোসেনেরই ভার্চুয়াল আদালত থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান। পরদিন সকালে মুক্তি পান।

এরপর ২১ জুন দুদক সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, পার্থ বণিকের জামিন বাতিলে উচ্চ আদালতে যাবে দুদক।

তিনি বলেন, ডিআইজি প্রিজন্স থাকা অবস্থায় পার্থ বণিকের বাড়িতে ৮০ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে টাকাটা অবৈধ বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। সেই মামলার বিচারকাজ চলছে।

‘গত বৃহস্পতিবার পার্থর হিয়ারিং হয়েছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে জামিন হয়েছে। আমি মনে করি, তার জামিনের বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা নেয়া উচিত এবং জামিনটা যাতে বাতিল করা যায় সেজন্য আমাদের কার্যক্রম চলছে।’

কার্যক্রমটা কীভাবে করবেন জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পার্থর যে জামিন হয়েছে, সেটা বাতিলের জন্য আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ৪ নভেম্বর মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ১৫ ডিসেম্বর।

চার্জশিটে বলা হয়, পার্থ বণিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ পাচারের উদ্দেশ্যে নিজ বাড়িতে সংরক্ষণ করছেন বলে দুদকের অনুসন্ধান টিম তথ্য পায়। ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই পার্থ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এসে অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য দেন।

জিজ্ঞাসাবাদে পার্থ জানান, তার বাসায় নিজ হেফাজতে ৩০ লাখ টাকা রয়েছে। তবে অর্থের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। তাৎক্ষণিকভাবে পার্থকে নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান টিম ঢাকার কলাবাগান গ্রিন রোডে আবাসিক এলাকায় তার বাসায় অভিযান চালায়। অভিযানে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

পরদিন পার্থ বণিকের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করে দুদক। প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে সেদিনই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) পার্থর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলা ও গ্রেপ্তারের পরিপ্রেক্ষিতে একই দিন তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। চার্জশিটে ১৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর