বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চীনের টিকা ট্রায়ালের অনুমতি

  •    
  • ২৩ জুন, ২০২১ ২১:০০

এর আগে একাধারে তিনটি টিকার ট্রায়াল করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েও অনুমোদনজনিত সিদ্ধান্তহীনতার কারণে সেগুলো ভেস্তে যায়।

চীনের আইএমবি ক্যামস-এর করোনা টিকা দেশে ট্রায়ালের জন্য আইসিডিডিআরবিকে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে বুধবার গণমাধমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ ছাড়া আরও দুটি টিকার অনুমতি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

চীনের ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল বায়ালোজি অফ দ্য চায়নিজ অ্যাকাডেমি অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের (আইএমবি ক্যামস) দেশীয় এজেন্ট ওয়ান ফার্মা।

কয়েক দিন আগেই দেশে একসঙ্গে তিনটি টিকা মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানায় বিএমআরসি। যেখানে গত বছর ওই তিন প্রতিষ্ঠানকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয়ারও কথা ছিল।

সূত্রে জানা যায়, এর আগে চীনের সিনোভ্যাক টিকার ট্রায়ালের আবেদন করেও শেষ পর্যন্ত চুক্তিতে দেরি করা এবং পরে দরদামে বনিবনা না হওয়ায় সেই প্রক্রিয়া ভেস্তে যায়।

সম্প্রতি চীনের উপহারের টিকা নিয়ে ঢাকায় অবতরণ করে বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজ। ছবি: সংগৃহীত

এর পরই চীনের আইএমবি ক্যামসের উদ্ভাবিত টিকা বাংলাদেশে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের আবেদন করে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। তাদের সঙ্গে প্রায় ৬০ কোটি টাকার চুক্তিও হয়। যার ২৫ শতাংশ টাকা চীনের ওই প্রতিষ্ঠানটি আইসিডিডিআরবিকে পাঠিয়েও দিয়েছে ট্রায়ালের জন্য। সব সেটআপও রেডি।

এর আগে একাধারে তিনটি টিকার ট্রায়াল করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েও অনুমোদনজনিত সিদ্ধান্তহীনতার কারণে সেগুলো ভেস্তে যায়।

ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে করোনা টিকার ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ কিনতে গত বছরের নভেম্বরে চুক্তি করে বাংলাদেশ। এর আওতায় দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে।

ভারত সরকারের দুই দফা উপহারের ৩২ লাখ ডোজ মিলিয়ে ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা আসে দেশে। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ মানুষ প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য রাখা হয়েছে ৪২ লাখ টিকা।

বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভারত নিজস্ব চাহিদার কথা বিবেচনা করে সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকার রপ্তানি গত ২৪ মার্চ স্থগিত করে। ভারত সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে টিকা পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে সরকার চীন ও রাশিয়া উদ্ভাবিত টিকা আমদানির চেষ্টা করছে। পাশাপাশি দেশে উৎপাদনের চেষ্টাও চলছে।

চীন দুই ধাপে বাংলাদেশকে ১১ লাখ টিকা উপহার দিয়েছে। তবে কবে ক্রয় চু্ক্তি হবে, সেটি এখনও নিশ্চিত নয়।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত টিকা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। এর বাইরে বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে গড়ে ওঠা জোট কোভ্যাক্স থেকেও পাওয়া গেছে ১ লাখ টিকা।

তবে এসব টিকা বাংলাদেশের চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। আর সিরাম থেকে টিকা এনে যাদের প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে কি না, এই বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত। অথচ শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে দুই ডোজ লাগে।

এ বিভাগের আরো খবর