বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সংকট নেই আইসিইউর

  •    
  • ২৩ জুন, ২০২১ ২০:০৩

সারা দেশে করোনা রোগীদের জন্য শয্যার সংখ্যা ১২ হাজার ৪৯৬টি। এর মধ্যে বর্তমানে আট হাজার ৮৯ শয্যা ফাঁকা রয়েছে। আর আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ১ হাজার ১৩৪টি। বর্তমানে ৬২৫টি খালি রয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বহুসংখ্যক রোগী চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ায় এখন উল্লিখিতসংখ্যক আইসিইউ শয্যা খালি হয়েছে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ঢাকাকে ঘিরে রাখা সাত জেলায় কঠোর লকডাউনের মধ্যে সংক্রমণ ও মৃত্যু—দুই-ই বেড়েছে।

তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর দিকে দেশে আইসিইউ নিয়ে যেমন হাহাকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তেমন পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি।

সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর রোগী শনাক্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আইসিইউ চাহিদা বেড়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় এখনও অপ্রতুল নয় আইসিইউ। সারা দেশে এখন আইসিইউ শয্যার অর্ধেকেরই বেশি ফাঁকা রয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, সারা দেশে করোনা রোগীদের জন্য শয্যার সংখ্যা ১২ হাজার ৪৯৬টি। এর মধ্যে বর্তমানে আট হাজার ৮৯ শয্যা ফাঁকা রয়েছে। আর আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ১ হাজার ১৩৪টি। বর্তমানে ৬২৫টি খালি রয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বহুসংখ্যক রোগী চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ায় এখন উল্লিখিতসংখ্যক আইসিইউ শয্যা খালি হয়েছে।

ঢাকা মহানগর হাসপাতালগুলোর শয্যাসংখ্যা ৫ হাজার ১৬১টির মধ্যে খালি রয়েছে ৩ হাজার ৫৫২টি। ৮২১টি আইসিইউর মধ্যে ফাঁকা ৫০৮টি। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৭০৫টি শয্যার মধ্যে খালি ৩৩২টি। তবে এখানকার ২০টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে কোনোটি খালি নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের ২৩০টি শয্যার মধ্যে খালি রয়েছে ১৩৪টি। ২০টি আইসিইউর মধ্যে খালি রয়েছে ৩টি।

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের মোট ২৭৫টি শয্যার মধ্যে খালি রয়েছে ২৯টি, তবে সেখানে থাকা ১০টি আইসিইউ শয্যার কোনোটি খালি নেই। মুগদা জেনারেল হাসপাতালের মোট ৩৫০টি শয্যার মধ্যে খালি ২৫১টি, ১০টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে একটিও ফাঁকা নেই।

কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের মোট ১৬৯টি শয্যার মধ্যে খালি ১১৩টি। ২৬টি আইসিইউর মধ্যে খালি ১৬টি। শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের ১৭৪টি শয্যার মধ্যে খালি ১৫৪টি। এখানে ১৬টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে খালি ৯টি।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ২৬৩টি শয্যার মধ্যে খালি ১৭২টি। ১০টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে একটিও খালি নেই। সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ৯০টি শয্যার মধ্যে খালি রয়েছে ৬৭টি। ৬টি আইসিইউর মধ্যে খালি ৪টি। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের মোট ৪৭০টি শয্যার মধ্যে খালি ৩৬৮টি। ১৫টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে খালি ৭টি।

সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের ৫০টি শয্যার মধ্যে খালি ৪৮টি। এনআইসিভিডি হাসপাতালের ১২৭টি শয্যার মধ্যে খালি ১০৬টি। টিবি হাসপাতালের মোট ১৮৩টি শয্যার মধ্যে খালি ১৭১টি। ৫টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে খালি ৪টি। ডিএনসিসি হাসপাতালের মোট ২৫০টি সাধারণ শয্যার মধ্যে খালি ২৫০টি। ২১২টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে খালি ১২৯টি। এনআইডিসিএইচ মহাখালীর ১১৪টি, এনআইকেডিইউ শ্যামলীর মোট ১৫টি শয্যার মধ্যে খালি ১৪টি।

ঢাকার মধ্যে ১২টি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে। এই হাসপাতালগুলোতে মোট শয্যার সংখ্যা পাঁচ হাজার ১৬১। এর মধ্যে বর্তমানে খালি রয়েছে সাড়ে তিন হাজারের ওপরে। এসব হাসপাতালে মোট ৮২১টি আইসিইউ রয়েছে। এর মধ্যে ৫০৮ বর্তমানে খালি রয়েছে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন বলেন, ঢাকাতে করোনা সেবার জন্য রাখা ৫ হাজার বেডের মধ্যে ৩ হাজারই খালি। সংক্রমণ যদি অনেক বেশি হয় তাহলে যেসব হাসপাতালে খালি শয্যা রয়েছে, সেগুলো আবারও সেবার জন্য প্রস্তুত করা হবে। ঢাকাসহ সারা দেশে ১২ হাজারের মতো শয্যা করোনা সেবা দেয়ার জন্য রয়েছে। এর মধ্যে ৮ হাজারের মতো শয্যা এখনও খালি রয়েছে। তবে সীমান্ত এলাকায় যেসব হাসপাতাল রয়েছে, এসব হাসপাতালের শয্যা খালি নেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্য কমিটির সদস্য ডা. আবু জামিল ফয়সাল নিউজবাংলাকে বলেন, সম্প্রতি আইসিডিডিআরবির এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকার করোনাভাইরাসের ৬৮ শতাংশ নমুনায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এটা ঢাকার জন্য খুবই উদ্বেগের। ভ্যারিয়েন্ট ছাড়াও, জনগণের স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে শৈথিল্যও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। গত দুই সপ্তাহে ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে সংক্রমণ বেড়েছে। এমন পরিস্থিত কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকাতেও তৈরি হতে পারে। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

তৃতীয় ঢেউ ফিরে আসার আশঙ্কা প্রকাশ করে আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহে খুলনা, রাজশাহী ও চট্টগ্রামে উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে সংক্রমণ। এটি প্রতিরোধে পরীক্ষা বাড়ানো ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর