মুন্সিগঞ্জে ৯ দিনের লকডাউনকে কেন্দ্র করে জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণে ১০ পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ জেলায় প্রবেশের সব সড়কে মঙ্গলবার সকাল থেকে এসব চেকপোস্ট বসানো হয়।
চেকপোস্ট দিয়ে জেলার ভেতরে বহিরাগতদের প্রবেশ রোধ ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করছে প্রশাসন।
এদিকে, ভোর থেকে জেলার লৌহজং শিমুলিয়া ঘাট হয়ে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে লকডাউনের আওতামুক্ত পণ্যবাহী ও জরুরি সেবার গাড়ি পারাপারে এ নৌরুটে ফেরি চলাচল করছে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফল্ল চৌহান জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে ১৪টি ফেরি সচল রয়েছে। এসব ফেরি দিয়ে শুধুমাত্র কাঁচামাল, পণ্যবাহী পরিবহন ও জরুরি রোগীবাহী গাড়ি পার করা হচ্ছে। সাধারণ যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে। ঘাটে গাড়ির চাপ নেই।
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাটের বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, ভোর থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান জানান, জেলার মুক্তারপুর ব্রিজের টোল প্লাজার সামনে একটি চেক পোস্ট করা হয়েছে। সকাল থেকে মুন্সিগঞ্জ থেকে নারায়ণগঞ্জগামী যাত্রীদের চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
লকডাউনের বিষয়ে জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার সংবাদ সম্মেলনে জানান, লকডাউনের সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও খাদ্যদ্রব্য ছাড়া অন্য দোকানপাট, শপিং মল বন্ধ থাকবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো ধরনের ইঞ্জিনচালিত যান চলবে না। কারখানা খোলা রয়েছে, শ্রমিকরা হেঁটে বা নিজস্ব উপায়ে কর্মস্থলে যেতে পারবেন।
লকডাউন বাস্তবায়নে ম্যাজিস্ট্রেটদের তদারকি থাকবে, কেউ নিয়ম অমান্য করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।