অর্থ ও মানবপাচার মামলায় কুয়েতের আদালতে কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল সাজা পাওয়ায় শূন্য হওয়া লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।
সোমবার ভোট গণনা শেষে ১৩৬টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফল ঘোষণা করা হয়।
এতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নয়ন পান ১ লাখ ২২ হাজার ৫৪৭ ভোট। লাঙ্গল প্রতীকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ ফায়েজ উল্লাহ শিপন পেয়েছেন ১ হাজার ৮৮৬ ভোট।
সেই হিসাবে নয়ন পেয়েছেন ৯৮.৪৫ শতাংশ ভোট। লাঙ্গলের প্রার্থী পেয়েছেন ১.৫৫ শতাংশ।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, এ আসনে ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ২ হাজার ৩৩৯। ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশ।
এদিকে জেলার রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সবগুলোতে চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী।
বেসরকারি ফলে তারা জয় পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার মো. দুলাল তালুকদার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জয় পেলেন যারা-
কমলনগরের চরফলকন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোশাররফ বাঘা ৭ হাজার ২৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজ্জাদুর রহমান ঘোড়া প্রতীকে পান ১ হাজার ১৫৩ ভোট।
তোরাবগঞ্জে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান রাসেল নৌকা প্রতীকে ৮ হাজার ১১৪ ভোট পেয়েছেন জয় পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সল আহমেদ রতন পেয়েছেন ৩ হাজার ২৭১ ভোট।
হাজীর হাটে আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নিজাম উদ্দিন ৮ হাজার ৮১৩ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আকবর হোসেন মিলন পান ৩০ হাজার ৭৫ ভোট।
রামগতি উপজেলার চর রমিজ ইউপিতে ১৩ হাজার ৮৪৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শারাফাত আলী ভূঁইয়া পেয়েছেন ১ হাজার ৬৬১ ভোট।
চর পোড়া গাছা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল আমিন নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ১৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাশেদ বিল্পব আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ১২৫ ভোট।
এ ছাড়া চর বাদামে ইউনিয়নে জয়ী নৌকা প্রতীকের জসীম উদ্দিন ৭ হাজার ৭৯০ ভোট পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ইয়াকুব শরীফের ভোটের সংখ্যা ৪ হাজার ১২৫।