কোরবানির ঈদে কোনোভাবে চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণে যেন অব্যবস্থাপনা তৈরি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
চামড়াখাতের উন্নয়নে সুপারিশ প্রদান ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে টাস্কফোর্সের তৃতীয় সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কোরবানির চামড়া সংরক্ষণে পর্যাপ্ত পরিমাণ লবণের মজুত রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে কোরবানির চামড়া ছাড়ানো, সংগ্রহ ও সংরক্ষণে স্বাস্থ্যগত সুরক্ষার বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।’
কোরবানির জন্য দেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক গবাদি পশু রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোনো গবাদি পশু আমদানি করতে হবে না। আসন্ন ঈদে যাতে দেশে অবৈধভাবে গবাদি পশু প্রবেশ করতে না পারে এবং পশুর চামড়া যাতে পাচার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেন, ‘খুব শিগগিরই ব্যবসায়ীদের নিয়ে চামড়ার মূল্য নির্ধারণের সভা করা হবে এবং নির্ধারিত মূল্যে চামড়া ক্রয় বিক্রয়ের জন্য মনিটরিং টিম গঠন করতে হবে।’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, ‘কোরবানির পশু জবাইয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্মতভাবে বিধি-নিষেধ অনুসরন করতে হবে। যেখানে সেখানে কোরবানির পশু জবাই করা যাবে না। বিশেষ করে, রাস্তার ওপর কোরবানির পশু জবাই করা যাবে না।’
জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহেদ আলী বলেন, ‘কোরবানিকে কেন্দ্র করে অবৈধ গবাদি পশু আসা এবং কোরবানির পশুর চামড়া চোরাচালান প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ বিষয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিজিবির মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালককে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘ঈদের দিন ও পরদিন চামড়া নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং এ সময় যাতে কোনো গুজব না ছড়ায়, সে বিষয়ে পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হবে।’
সভায় আরও যুক্ত ছিলেন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিক চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহিন আহমেদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সভায় জানানো হয়, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ট্যানারি মালিকদের সহজশর্তে ঋণ দেয়া এবং চামড়া ব্যবসায়ীদের পূর্বের ঋণ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থবিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে দ্রুত সভা করা হবে।