অবৈধ পথে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বর্তমান সংসদের তিন সদস্যসহ ছয়জনের বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়ায় তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সোমবার আদালতে আবেদন করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্ন আদালত তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
সংস্থাটির পরিচালক (ক্যাসিনো সংক্রান্ত অনুসন্ধান টিমের প্রধান) সৈয়দ ইকবাল হোসেন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্তরা হলেন চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান সাজ্জাদুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল হাই এবং ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম আজাদ।
২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ইমিগ্রেশন বরাবর পাঠানো চিঠিতে এই ছয় জনসহ ২২ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার অনুরোধ জানায় দুদক।
হাইকোর্টের সাম্প্রতিক এক নির্দেশনার কারণে দেশত্যাগে বা বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার জন্য নিম্ন আদালতের অনুমতি নিতে হচ্ছে দুদককে।
এরই ধারাবাহিকতায় দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ অভিযানের ধারাবাহিকতায় ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে ৩০ সেপ্টেম্বর অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অন্তত ২৩টি মামলা হয়েছে। ১২টির চার্জশিটও দাখিল করা হয়েছে। এসব মামলায় সম্পৃক্ত অবৈধ সম্পদও জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বেশ কয়েকজন আসামিকে।
দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবালের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধান ও তদন্তের দায়িত্ব পালন করছে।
টিমের অপর সদস্যরা হলেন- দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. সালাহউদ্দিন, গুলশান আনোয়ার প্রধান, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।