বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজবাড়ীতে সংক্রমণের হার ৬৩ শতাংশ

  •    
  • ২১ জুন, ২০২১ ২০:১২

গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন নিউজবাংলাকে বলেন, ভারত থেকে এসে তথ্য পোগন করে বিভিন্ন জেলায় লোকজনের লুকিয়ে থাকার কারণে সীমান্তবর্তী জেলাসহ বিভিন্ন জেলায় করোনা সংক্রমণ খারাপের দিকে যাচ্ছে।

করোনাভাইরাস থেকে রাজধানী ঝুঁকিমুক্ত রাখতে ঢাকাকে ঘিরে রাখা সাত জেলায় লকডাউন দেয়া হয়েছে। এই সাত জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত জেলা রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ।

রাজবাড়িতে নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৬৩ দশমিক ১০ শতাংশ। এরপরেই অবস্থান গোপালগঞ্জের। এই জেলায় করোনা শনাক্তের হার ৪২ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই এটি জানা গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, রাজবাড়ীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্ত হয়েছে ৬৫ জন। আর গোপালগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১০৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৫ জন।

সনাক্তের হারে ‍তৃতীয় স্থানে অবস্থান গাজীপুরের। এই জেলায় গত এক দিনে ২৩২টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এছাড়া মুন্সিগঞ্জে শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ, মানিকগঞ্জে ১৫ দশমিক ১৬। মাদারিপুরে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ।

এই সাত জেলার মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ নারায়ণগঞ্জ। এখানে শনাক্তের হার ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ।

গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন সুজাত আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, বিশেষ করে ভারত থেকে এসে তথ্য পোগন করে বিভিন্ন জেলায় লোকজনের লুকিয়ে থাকার কারণে সীমান্তবর্তী জেলাসহ বিভিন্ন জেলায় করোনা সংক্রমণ খারাপের দিকে যাচ্ছে। গোপালগঞ্জের সংক্রমণের হার অনেক কম ছিল। কিন্তু এই সব লোক বিভিন্ন জায়গা থেকে আসার কারণে রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে।

সুজাত আহমেদ বলেন, ‘সাধারণ করোনা উপসর্গ যাদের মধ্যে দেখা দেয়, আমরা তাদের নমুনা সংগ্রহ করে থাকি। যারা কারণে সংক্রমণ হার একটু বেশি মনে হচ্ছে। এখন সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

‘আমাদের জেলার যে গ্রামে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, সেখানে এরই মধ্যে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে সেটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। জেলার কাশিয়ানী উপজেলায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে আংশিক লকডাউন করা হয়েছে। এই লকডাউন চলছে।’

তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে করোনা নমুনা সংগ্রহ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। জেলায় ব্যাপক প্রচার-প্রচালনা চালানো হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য বলা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর