করোনাভাইরাস থেকে ঢাকাকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতেই সরকার সারা দেশের সঙ্গে রাজধানীকে বিচ্ছিন্ন করার কৌশল নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সচিবালয়ে সোমবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জরুরি বৈঠকে ঢাকার আশপাশের ৪ জেলাসহ দেশের ৭ জেলায় শাটডাউনের সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজকের সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ঢাকাকে আমরা একটু কাট-অফ (বিচ্ছিন্ন) রাখতে চাই অন্য জেলার সঙ্গে।
‘ঢাকাকে নিরাপদ শুধু নয়, ঢাকার সঙ্গে কমিউনিকেশনটা যদি কাট-অফ হয় তাহলে এমনিতেই মুভমেন্ট অনেক কমে যাবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সাতক্ষীরা, বাগেরহাটের মোংলা, যশোর পৌরসভা, অভয়নগর, বেনাপোল, শার্শা, ঝিকরগাছা, কুষ্টিয়া সদর, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা, মেহেরপুরের পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড, মাগুরা পৌরসভা, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, নাটোর পৌরসভা, সিংড়া, বগুড়া পৌরসভা, জয়পুরহাট পৌরসভা, কালাই, পাঁচবিবি, নওগাঁর প্রতিটি উপজেলায় স্থানীয়ভাবে লকডাউন চলছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এর বাইরে স্থানীয়ভাবে যেখানে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি খারাপ হবে, সেখানে স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
ঢাকার অভ্যন্তর নিয়ে বিশেষ কোনো নির্দেশনা আছে কি না জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘আমরা সন্ধ্যায় বসব, দেখি। একটা ভিডিও কনফারেন্স করব অন্য ডিভিশনের সঙ্গে। তবে ঢাকার বিষয়ে ইমিডিয়েট কোনো সিদ্ধান্ত আসবে না।’
শাটডাউনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ২২ জুন সকাল ৬টা থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী এবং গোপালগঞ্জ জেলায় সার্বিক কার্যাবলি/চলাচল (জনসাধারণের চলাচলসহ) বন্ধ থাকবে।
এ সময়ে শুধু আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা যেমন: কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের নদীবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবাসংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী, যানবাহন এবং পণ্যবাহী ট্রাক, লরি নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।