বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মা সেতুর সব রেলস্ল্যাব বসানো শেষ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২০ জুন, ২০২১ ১৯:৪৫

পদ্মা সেতুর ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে শনিবার পর্যন্ত বসানো হয়েছিল ২ হাজার ৯৫৮টি। রোববার সকাল ৮টার দিকে সবশেষ স্ল্যাবটি বসানোর কাজ শুরু হয়। শেষ হয় বেলা ১০টার দিকে।

নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ। কর্মযজ্ঞের ধারাবাহিকায় সেতুতে সব স্প্যান বসানোর ছয় মাসের মাথায় শেষ হয়েছে রেলওয়ের স্ল্যাব বসানোর কাজ।

রোববার সকাল ১০টার দিকে সেতুর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের স্প্যানে রেললাইনের শেষ স্ল্যাব বসানো হয়। এর মাধ্যমে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের মূল সেতুতে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ হলো।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সেতুর ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে শনিবার পর্যন্ত বসানো হয়েছিল ২ হাজার ৯৫৮টি। রোববার সকাল ৮টার দিকে সবশেষ স্ল্যাবটি বসানোর কাজ শুরু হয়। শেষ হয় বেলা ১০টার দিকে।

সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী সূত্র জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রেলওয়ের স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু হয়। ২ বছর ৮ মাস ২৬ দিনে এসে শেষ হলো সব স্ল্যাব বসানোর কাজ। এখন সেতুর নিচের অংশে গ্যাসের লাইন এবং স্ল্যাবের ওপরে রেললাইন বসানোর জন্য রেল লিঙ্ক প্রকল্পের কাছে এটি হস্তান্তর করা হবে।

আরও জানানো হয়, রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর পাশাপাশি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজও এগিয়ে চলছে। সেতুর মোট ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে বসানো হয়েছে ২ হাজার ৬৮৯টি। বাকি আছে ২২৮টি। এই কাজও এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু।

এরপর একে একে ৪২টি পিলারে বসানো হয় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বরে দৃশ্যমান হয় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পুরো সেতু।

পদ্মা সেতুর মূল আকৃতি দোতলা। ওপরে সড়ক ও নিচে হবে রেললাইন। স্প্যান বসানোর সঙ্গে সঙ্গেই রোডওয়ে ও রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোসহ অন্যান্য কাজ চলছিল।

মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) এবং নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেক প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।

এ বিভাগের আরো খবর