বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বুয়েটে তাকিয়ে সরকার

  •    
  • ২০ জুন, ২০২১ ১৮:৪৯

সড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা একটি প্রতিবেদন তৈরি চলমান রয়েছে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার দাবি, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, সড়ক অনুযায়ী যানবাহনের পরিমাণ নির্ধারণসহ নানা বিষয় এতে উঠে আসবে।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞদের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছে সরকার।

সচিবালয়ে রোববার সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সড়ক পরিবহনবিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠক শেষে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

মন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশে বিভিন্ন সময়ে কীভাবে দুর্ঘটনা হয়, সেটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। বুয়েটের বিশেষজ্ঞরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে তারা তাদের মতামত রেখেছেন।’

সড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা একটি প্রতিবেদন তৈরি চলমান রয়েছে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার দাবি, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, সড়ক অনুযায়ী যানবাহনের পরিমাণ নির্ধারণসহ নানা বিষয় এতে উঠে আসবে।

‘তারা বিস্তারিতভাবে একটি টেকনিক্যাল রিপোর্ট আমাদের সাবমিট করবেন। সার্ভে করে কোন রাস্তায় কী পরিমাণ গাড়ি চলতে পারে- সমস্ত বিষয় নিয়ে তারা একটি রিপোর্ট সাবমিট করবেন। পুলিশের মাধ্যমে সেটা আমাদের কাছে আসবে।’

মোটরসাইকেলে আবারও চালক বাদে দুইজন আরোহী নেয়ার প্রবণতা বেড়েছে বলে সড়ক পরিবহন বিষয়ক টাস্কফোর্সের বৈঠকে জানানো হয়। এর ফলে দুর্ঘটনার সংখ্যা আরও বাড়ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মোটরসাইকেলে কোনো ক্রমেই দুইজনের বাইরে যেন কেউ না উঠতে না পারে সেজন্য পুলিশ প্রশাসন লক্ষ্য রাখবেন। তারা লক্ষ্য রেখে যাচ্ছেন। তবে সেটাকে আরও জোরদার করবেন।’

অনিবিন্ধিত মোটরসাইকেলসহ কোনো যানবাহনে যেন সড়কে না নামতে পারে, সেদিকে নজর দিতে পুলিশবাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলে, ‘আমরা সেটার ওপর নজরদারি বাড়াচ্ছি। পুলিশ প্রশাসন সেটা দেখবে। মোটরসাইকেল হোক বা যেকোনো যানবাহন হোক নিবন্ধনের বাইরে যাতে কোনো যানবাহন রাস্তায় বের করতে না পারে সে ব্যবস্থা করব।’

সাম্প্রতিক সময়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে বলে জানিয়েছে সড়ক পরিবহনবিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্স

দুর্ঘটনা বাড়ার রিপোর্ট নেই

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও সামগ্রিকভাবে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে বলে মনে করেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

তিনি বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা খুব বেড়েছে এ রকম কোনো রিপোর্ট আমার কাছে নেই। ডেইলি রিপোর্ট আমরা দেখি।’

তবে স্বীকার করেছেন, দুর্ঘটনা হচ্ছে।

দুর্ঘটনার কারণগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দুর্ঘটনা কমানোর জন্যই টেকনিক্যাল এক্সপার্টরা পুলিশের সঙ্গে বসে একটা প্রতিবেদন আমাদের সাবমিট করবে, আমাদের ফলো করার জন্য। সেটা নিয়ে কাজ করতে আমরা রেডি হচ্ছি।’

দুর্ঘটনার প্রতিরোধ ও কারণ অনুসন্ধানে মহাসড়কে ক্যামেরা বসানো হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘হাইওয়েতে আমরা ক্যামেরা স্থাপন করছি। টেন্ডার হয়ে গেছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হাইওয়ে পুরোপরি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।’

এরমধ্য দিয়ে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ ও নজরদারি বাড়ানো সম্ভব হবে বলেও মত তার।

‘তাহলে দুর্ঘটনা কীভাবে হলো, কে কীভাবে গাড়ি থামাল- সব নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আমাদের পুলিশবাহিনী বসে বসে দেখতে পারবে কী হচ্ছে।’

যেখানে সেখানে টোল আদায় নয়

নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য কোথাও গাড়ি থামিয়ে টোল, রাজস্ব আদায় করা যাবে না বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক পরিবহন বিষয়ক টাস্কফোর্স।

সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইজারাকৃত জায়গায় এবং আমাদের স্থানীয় সরকার পরিচালিত যে সমস্ত সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা আছে, তাদের নির্ধারিত ফি কিংবা টোল সবগুলোই কিংবা পরিবহনের নির্ধারিত টার্মিনাল ছাড়া কোনো জায়গা থেকে চাঁদা আদায় করতে পারবে না।’

রাস্তায় দাঁড় করিয়ে কোন যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় করা যাবে না জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘চাঁদা কিংবা টোল বা রাজস্ব যেটাই হোক আদায় করতে হবে নির্ধারিত স্থান থেকে, নির্ধারিত টার্মিনাল থেকে। আমরা এটাও আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

টাস্কফোর্সের অগ্রগতি

টাস্কফোর্সের ১১১ সুপারিশ কার্যকরেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘টাস্কফোর্সের গতি বাড়ানোর জন্য চার মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির মাধ্যমে একজন করে ফোকাল পয়েন্ট থাকবেন। টাস্কফোর্সের ১১১টি সুপারিশ বাস্তবায়নে তারা একটি কর্মপদ্ধতি বের করে আগামী বৈঠকে পেশ করবেন।’

সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নের পথে। কিছু কিছু সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়েছে। আর বাকিগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করব সেজন্য একটা কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছি। সেগুলো নিয়ে আমরা পরবর্তী মিটিংয়ের দীর্ঘ আলোচনা করব।’

এ বিভাগের আরো খবর