নিখোঁজের আট দিন পর আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনানের ফিরে আসার খবর তার মা আজেদা বেগম জেনেছেন পুত্রবধূ আবিদা নূরের কাছে। তবে ছেলেকে দেখতে পারেননি তিনি। তার আগেই নিয়ে আসে পুলিশ।
আজেদার সঙ্গে কথা হয়েছে নিউজবাংলার। তিনি বলেন, “আমার ছেলের স্ত্রী আমাকে দুপুরে ফোন করে জানায়, ‘মা, আপনার ছেলে ফিরে এসেছে, এখন বাসায় আছে আপনি আসেন’।”
‘দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে যাই। কিন্তু শুধু তাকে দেখতে পাই, এর মধ্যে পুলিশ এসে নিয়ে যায়’- আট দিন ধরে উৎকণ্ঠিত মা তার ছেলের সঙ্গে কথা না বলতে পারার আক্ষেপ তুলে ধরেন এভাবে।
আবিদা নূর তার বাবা আজহারুল ইসলাম মণ্ডলের বাড়িতেই থাকেন। বাসাটি রংপুর সদরের আবহাওয়া অফিসের কাছে।
গত ১০ জুন থেকে ত্ব-হার নিখোঁজ হওয়ার কথা জানা যায়। বিষয়টি প্রথমে গণমাধ্যমের সামনে আনেন দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিকুন্নাহার। পরে আজেদা বেগমও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন নিউজবাংলার সঙ্গে।
ত্ব-হার মা বলেন, ‘কী থেকে কী হচ্ছে আমি জানি না। আমার ছেলে জীবিত ফিরে এসেছে এ জন্য শুকরিয়া আদায় করছি। কোনো যেন বিপদ-আপদ না হয় সেই দাবি করছি।’
ঢাকায় থাকা দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিকুন্নাহারের মতো স্বামীর ফিরে আসা নিয়ে কথা বলতে চাননি প্রথম স্ত্রী আবিদা নূরও। তবে কথা বলেছেন আবিদার ছোট বোন নিশা মনি।
তিনি বলেন, ‘ভাইয়া (ত্ব-হা) দুপুরে এসেই আপুর ঘরে যায়। আমরা আত্মীয়স্বজনদের খবরটা জানাই। এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে ভাইয়াকে নিয়ে যায়।’
ত্ব-হার শ্বশুর আজহারুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ‘ঘটনার দিন (১০ জুন) আমি আমার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ছিলাম। সেখানে ঘটনাটা শুনে মনটা খারাই হয়ে গেছিল। এই কয়দিন কিছু ভালো লাগছিল না। ছটছট করি বেড়াইছি। আজ বাসায় আসছে। কিন্তু দেখা হয় নাই। এলাও দেখা হয় না।’
ত্ব-হাকে নিয়ে আসার পর রংপুর মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ। বাহিনীটির অপরাধ বিভাগের উপকমিশনার আবু মারুফ হোসেন দাবি করেন, ব্যক্তিগত কারণে ত্ব-হা ও তার চার সঙ্গী আত্মগোপনে ছিলেন।
তার ভাষ্যমতে, ঘটনার দিন থেকেই ত্ব-হা গাইবান্ধায় তার এক বন্ধুর বাসায় ছিলেন। এই কয়দিন নিজের ও সঙ্গীদের সব ফোন বন্ধ করে রাখেন তিনি।
তবে কেন ত্ব-হা এই কাজ করতে গেলেন, সেই প্রশ্নের জবাব এখনই দিতে চাননি এই পুলিশ কর্মকর্তা। বলেন, বিষয়টি যেহেতু ব্যক্তিগত, তাই তারা প্রকাশ করতে চান না এখনই। এ নিয়ে আরও যাচাই-বাছাই করবেন তারা।