ডিজিটাল নিরাপত্তা নিয়ে ব্যক্তিগত সচেতনতার অভাবে অনেকে বিপদগ্রস্ত হচ্ছেন জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
রাজধানীতে শুক্রবার বেসরকারি সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন আয়োজিত সাইবার অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশনায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
‘ডিজিটাল অপরাধ বর্তমান সময়ের একটি বড় চ্যালেঞ্জ’ জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘দেশ যত বেশি ডিজিটাল হবে, ডিজিটাল অপরাধের মাত্রা তত বাড়বে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি প্রযুক্তিবিদ, অভিভাবক ও শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। ডিজিটাল অপরাধ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে ব্যক্তিগত সচেতনতার অভাবে অনেকে বিপদগ্রস্থ হচ্ছেন।’ তাই পাসওয়ার্ডসহ কিছু কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন মন্ত্রী।
ডিজিটাল অপরাধ থেকে শিশুদের নিয়ন্ত্রণে প্যারেন্টাল গাইডেন্সের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ‘প্যারেন্টাল গাইডেন্সের মাধ্যমে শিশুদের ডিজিটাল অপরাধের হাত থেকে রক্ষা করা যায়। কিন্তু অভিভাবকদের এ সংক্রান্ত অজ্ঞতার কারণে তা প্রয়োগের হার খুবই কম।’
মোবাইল, ডিভাইস ছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ের একজন শিক্ষার্থীরও পাঠগ্রহণ সম্ভব হচ্ছে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘শিশুটি ক্লাস করা ছাড়া অনলাইনে কী করে অভিভাকদেরই তা মনিটরিং করা দরকার।’
ডিজিটাল অপরাধ অনেক বিস্তৃতি লাভ করেছে বলেই সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্স সোশ্যাল মিডিয়া এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংক্রান্ত বিষয়ে আইন প্রণয়ন করেছে বলে জানান মন্ত্রী।
ডিজিটাল অপরাধ দমনে পুলিশের দক্ষতার প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল কানেক্টিভিটি সারা দেশে সম্প্রসারিত হওয়ায় এই অপরাধটি কেবল শহরকেন্দ্রিক নয় এটি সারা দেশে ছড়িয়ে গেছে। পুলিশ বাহিনীতে তৃণমূল পর্যন্ত ডিজিটাল ইউনিট গঠন করা সময়ের দাবি।’