সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী জান্নাতুল তৃষ্ণা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে লড়াইয়ে তিনি হেরে গেলেন।
রাজধানীর শমরিতা হাসাপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিই) চিকিৎসা চলাকালে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তৃষ্ণার বাবা ফজলুল হক।
তৃষ্ণা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের (তৃতীয় বর্ষ) শিক্ষার্থী ছিলেন।
ফজলুল হক জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়ায় বন্ধুর বাইকের পেছন থেকে পড়ে গিয়ে আহত হন তৃষ্ণা। ঘটনাস্থল থেকে তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বুধবার হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় এনে শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর থেকে তিনি আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন।
সন্ধ্যায় তৃষ্ণার মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসে তার পরিবার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের কয়েকজন শিক্ষকসহ তৃষ্ণার কয়েকজন সহপাঠী।
এ সময় তৃষ্ণার বাবা ফজলুল হক বলেন, ‘অনেক আশা নিয়ে ও (তৃষ্ণা) জাহাঙ্গীরনগরে ভর্তি হয়েছিল। আজ তার লাশ নিয়ে আসতে হলো ক্যাম্পাসে। দুর্ঘটনায় মেয়েটাকে হারালাম। আর কারও বুক যাতে এভাবে খালি না হয়।’
তিনি জানান, শুক্রবার বাদ জুমা বগুড়া সৈয়দ আহম্মদ কলেজ মাঠে জানাজা শেষে সুখানপুকুর গ্রামের বাড়িতে তৃষ্ণাকে দাফন করা হবে।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমদ বলেন , ‘তৃষ্ণার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তার পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই।’