বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাদ্রাসার ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ: মামুনুলের বিরুদ্ধে মামলা

  •    
  • ১৬ জুন, ২০২১ ১৮:৫০

মামলায় বলা হয়, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম মুফতি আতাউর রহমানের মৃত্যুর আগে বিভিন্ন সময় ছাত্র-শিক্ষকদের খাবার, ভবন নির্মাণে রড-সিমেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের খরচ দেখিয়ে আসামিরা ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির নেতা মামুনুলের বিরুদ্ধে ঢাকার একটি কওমি মাদ্রাসার ২০ কোটি টাকার সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

ঢাকার নর্দ্দা এলাকার আল মাদ্রাসাতুল মুঈনুল ইসলাম পক্ষে মামলাটি করেন এর মুহাদ্দিস মাওলানা আবদুর রাজ্জাক কাসেমী। এতে মোট ৪৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মোরশেদ আল মামুন ভূঁইয়ার কাছে মঙ্গলবার আবেদনটি করা হয়। বিচারক তা গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা পিবিআইকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে।

বাদীর পক্ষে আবেদনটি জমা দেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রচি। এরপর বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয়া হয়।

বুধবার আদালতের কর্মী শাহাদাৎ হোসেন বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।

মামলায় বলা হয়, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম মুফতি আতাউর রহমানের মৃত্যুর আগে বিভিন্ন সময় ছাত্র-শিক্ষকদের খাবার, ভবন নির্মাণে রড-সিমেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের খরচ দেখিয়ে আসামিরা ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।

২০২০ সালের ৯ অক্টোবর নর্দ্দা বারিধারা সংলগ্ন প্রগতি সরণিতে সড়ক অবরোধ করে কওমিপন্থিরা। সে সময় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন বলে মামলায় বলা হয়।

তবলিগ জামাতে মাওলানা সাদপন্থি ও বিরোধীদের মধ্যে বিভেদের প্রভাব পড়ে এই মাদ্রাসায়। মামুনুলরা সাদবিরোধী। আর তারা সাদপন্থিদের সম্পদ লুট করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলায় বলা হয়, সেদিনের বিক্ষোভে আসামিদের নেতৃত্বে আনুমানিক প্রায় ২৫০ জন হেফাজতকর্মী ও উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র-শিক্ষক অন্যদের বোঝান যে, সাদ ও তার অনুসারীদের মালামাল হলো ‘গণিমতের মাল’। এরপর মাদ্রাসা অফিসের ভেতরে আলমারিতে রাখা নগদ টাকা, রশিদ বই, খরচের ভাউচার, ক্যাশ বই, খতিয়ান বই ও স্টক বইসহ মূল্যবান দলিলপত্র লুট করে নেয়া হয়। পরে অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।

পরে ১৩ অক্টোবর শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকদের মতবিনিময় সভা আহ্বান হলে আসামিরা কয়েকশ উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রকে নিয়ে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে। তারা সেখানে আসা লোকদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। সেই সঙ্গে লোহার রড, দা, লাঠি, বাঁশ ইত্যাদি দিয়ে আঘাত করে মারাত্মক জখম করে।

মামুনুল হক গত ১৮ এপ্রিল থেকেই গ্রেপ্তার আছেন। তার বিরুদ্ধে নাশকতার বেশ কিছু মামলা আছে। পাশাপাশি গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টের সঙ্গী জান্নাত আরা ঝর্ণা তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলাও করেছেন।

মামুনুল মোহাম্মদপুরের যে মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন, সেই জামিয়া রহমানিয়াও বেদখল করা বলে অভিযোগ আছে।

অন্য আসামি যারা

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মাওলানা আতাউল্লাহ, মাহফুজুল হক, মুফতি সেলিম উল্লাহ, মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ, মুফতি মামুনুর রশিদ, মাওলানা হানজালা, হানজালা বিন জোবায়ের, হাজি জসীম উদ্দিন ঢালি, হাজি আফতাব উদ্দিন, মামুন ঢালি, ফারুক হোসেন;

মাওলানা ফখরুল ইসলাম, ফজলুর রহমান, ফেরদৌস ঢালি, হাফিজুর রহমান সুমন, আল আমিন, আব্দুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা বিন ইয়ামিন, মো. ওসমান, হাফিজুর রহমান, সুলাইমান, মাওলানা তালহা, মাওলানা গোলাম মুকতাদির, মাওয়লা মুঈনুদ্দিন, মাওলানা নুর আলম, মাওলানা আলী;

মাওলানা ইউসুফ, মাওলানা ফয়সাল, মাওলানা তারেক, বায়েজিদ, মো. হুমাইন আহামদ, মো. ইয়াসিন, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, হাফেজ মো. আবু সায়েম, মাওলানা আব্দুর আজিজ, মাওলানা মো. আলী, মুফতি জসীম উদ্দিন, মাওলানা জাকির হোসেন, মাওলানা আনোয়ার হোসেন ও মাওলানা আনিসুর রহমান।

এ বিভাগের আরো খবর