বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আরও এক মাসের বিধিনিষেধে দেশ

  •    
  • ১৬ জুন, ২০২১ ১৭:০৮

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় চলমান বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা ১৬ জুন মধ্যরাত থেকে ১৫ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল সরকারি, বেসরকারি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে সারা দেশে চলমান বিধিনিষেধ ১৫ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে করোনার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে স্থানীয় প্রশাসনের হাতে লকডাউন বা বিধিনিষেধ আরোপের ক্ষমতা বহাল রাখা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বুধবার বিকেলে এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় চলমান বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা ১৬ জুন মধ্যরাত থেকে ১৫ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

প্রতিবার ৭ দিন করে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হলেও এর আগের বার বাড়ানো হয়েছে ১০ দিন। আর এবার বাড়ানো হলো ৩০ দিন।

এক মাসের বিধিনিষেধে যে শর্ত আরোপ করেছে সরকার:

০১. কোভিড-১৯-এর উচ্চঝুঁকিসম্পন্ন জেলাসমূহের জেলা প্রশাসকগণ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধি মোতাবেক লকডাউনসহ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

০২. সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে খোলা থাকবে।

০৩. সকল পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

০৪. জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান (ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক, পাটি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

০৫. আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানসমূহ সকাল ৬টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ (Takeaway/Online) করতে পারবে এবং আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা প্রদান করতে পারবে।

০৬. সব ধরনের গণপরিবহন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবে।

এর আগে মঙ্গলবার করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা দেশে লকডাউন বা বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত থেকে সরকারের সরে আসার সিদ্ধান্তের কথা নিউজবাংলাকে জানিয়েছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

তিনি বলেছিলেন, ‘সামগ্রিক দেশে নয়, স্থানীয় পর্যায়ে আমরা শুরু করব। যেখানে সংক্রমণের মাত্রা বেশি, সেখানে আমরা বিধি নিষেধগুলো আরোপ করব, যাতে সংক্রমণের মাত্রা কমে আসে।’

তবে পরিস্থিতির প্রয়োজনে সরকার যেকোনো মুহুর্তে সিদ্ধান্ত বদল করতে পারে বলেও ইঙ্গিত রেখেছিলেন প্রতিমন্ত্রী। বলেন, ‘সেন্ট্রালি বলতে হচ্ছে, এখন আপাতত সেরকম (পরিকল্পনা) নেই। সেটি আমরা পর্যবেক্ষণ করব, তারপরে। প্রয়োজন পড়লে সেটা পরে দেখা যাবে। আমরা স্থানীয় পর্যায়ে বিধিনিষেধগুলো কঠোরভাবে আরোপের পক্ষে।’

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ৫ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন চলাচল বন্ধসহ সাত দিনের বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। সেই বিধিনিষেধ পরে আরও দুই দিন বাড়ানো হয়।

সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত দেয়া হয় কঠোর লকডাউন। এরপর সেটা কয়েক মেয়াদে বাড়িয়েছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় এই বিধিনিষেধ আরও একদফা বাড়ানো হলো।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লকডাউন অনেকটা শিথিল হয়ে এসেছে। ঈদ ছুটি পর্যন্ত দূরপাল্লার গণপরিবহন বাস, ট্রেন, লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়। তারপর ২৩ মে থেকে আন্তজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলছে।

হোটেল ও খাবারের দোকানে আসনসংখ্যার অর্ধেক গ্রাহককে সেবা দেয়ার সুযোগ রেখেছে সরকার। জরুরি কাজে নিয়োজিত সরকারের দপ্তরগুলোও খোলা আছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে শিল্প-কলকারখানা।

মূলত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া দৃশ্যত আর কোথাও লকডাউন নেই। যদিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ বিভাগের আরো খবর