বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশজুড়ে আর বিধিনিষেধ চায় না সরকার

  •    
  • ১৫ জুন, ২০২১ ২১:১৬

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সামগ্রিক দেশে নয়, স্থানীয় পর্যায়ে আমরা শুরু করব। যেখানে সংক্রমণের মাত্রা বেশি, সেখানে আমরা বিধি নিষেধগুলো আরোপ করব, যাতে সংক্রমণের মাত্রা কমে আসে।’

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা দেশে লকডাউন বা বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। যে এলাকায় সংক্রমণের মাত্রা বেশি, সেখানেই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উপায় দেখা হচ্ছে।

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সামগ্রিক দেশে নয়, স্থানীয় পর্যায়ে আমরা শুরু করব। যেখানে সংক্রমণের মাত্রা বেশি, সেখানে আমরা বিধি নিষেধগুলো আরোপ করব, যাতে সংক্রমণের মাত্রা কমে আসে।’

তবে পরিস্থিতির প্রয়োজনে সরকার যেকোনো মুহুর্তে সিদ্ধান্ত বদল করতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। বলেন, ‘সেন্ট্রালি বলতে হচ্ছে, এখন আপাতত সেরকম ই (পরিকল্পনা) নেই। সেটি আমরা পর্যবেক্ষণ করব, তারপরে। প্রয়োজন পড়লে সেটা পরে দেখা যাবে। আমরা স্থানীয় পর্যায়ে বিধি নিষেধগুলো কঠোরভাবে আরোপের পক্ষে।’

গত ৬ জুন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে স্থানীয় প্রশাসনের হাতে লকডাউন বা বিধিনিষেধ আরোপের ক্ষমতা দিয়ে সারা দেশে চলমান বিধিনিষেধ ১৬ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে বুধবার। তার অর্থ বুধবার থেকে উঠে যাচ্ছে সব বিধিনিষেধ?

স্পষ্ট কোনো উত্তর দেননি প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। জানালেন বুধবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। সেই প্রজ্ঞাপনে কী থাকছে, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখনও সেটা বলতে পারছি না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন বিষয়গুলো বিচার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন, তখনই বলতে পারব।’

তবে দেশজুড়ে বিধিনিষেধ আরোপ করতে না চাইলেও, কিছু বিষয় সবাইকে মেনে চলতে হবে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যে বিষয়গুলো আছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, জনসমাগম না করা, রাজনৈতিক, সামাজিক বা ধর্মীয় সমাবেশ যাতে না হয়, আমাদের স্কুল কলেজ কিন্তু বন্ধ আছে, হোটেল- রেস্টুরেন্টগুলো যেভাবে চলছে, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি, অপ্রয়োজনে বাইরে না আসা- এইগুলো আমাদের চলমান রাখতে হবে।’

সংক্রমণের মাত্রা ১৩-১৪ শতাংশে উঠে যাওয়ায় শঙ্কা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যেকোনো সময় ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে আমরা চাইব, যেখানে নাই সেখানে শুধু ডিস্টারবেন্স না করে, যেখানে আছে সেখানে যেন কার্যকরভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করি, সেটি হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য।’

গ্রাম বা ইউনিয়ন বা উপজেলা- এরকম ছোটো ছোটো পর্যায়ে বিধিনিষেধ আরোপ করে সংক্রমণ মোকাবিলার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও এমন মতামত দিয়েছে বলে জানান জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

‘যেখানে সংক্রমণ বাড়বে, সেখানে বিধিনিষেধের আওতায় নিয়ে আসা। দোকানপাট বন্ধ রাখা। মানুষ যাতে ঘরে থাকে, অপ্রয়োজনে যেন বাইরে না আসে। বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল কোর্ট করছি। মাইকিং চলছে।’

স্থানীয় পর্যায়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান ফরহাদ। তিনি বলেন, ‘যেহেতু সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে এবং আমরা দেখছি সংক্রমণ বাড়ছে, তাই স্থানীয় পর্যায়ে বলে দেয়া আছে। প্রতিটি জায়গাতে সেটা প্রয়োগ করা হচ্ছে। যাতে করে অর্থনীতির কোনো ক্ষতি না হয়, প্রভাবিত করতে না পারে সেদিকটা মাথায় রেখেই আমরা বিধি নিষেধ আরোপ করব। সেভাবে নির্দেশনা দেয়া আছে।’

সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতেও সকল প্রস্তুতি রাখা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। বলেন, ‘যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বাসায় রাখা, খাবারের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমাদের সীমান্তবর্তী এলাকা প্রস্তুত, সংক্রমণের হার বেড়ে গেলে একদিনের নোটিশে বিধি-নিষেধ আরোপ করা যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর