ক্ষমতায় টিকে থাকতে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান রাজধানী ঢাকার কয়েক হাজার গাছ ধ্বংস করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমানকে কেউ একজন বলেছিলেন, গাছের ফাঁক থেকে আপনাকে গুলি করতে পারে। এ কারণে ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে ঢাকার সব গাছ কেটে ফেললেন তিনি।’
‘আবার আমরা দেখলাম, হেফাজতের আন্দোলনের সময় বিএনপি-জামায়াত মিলে ঢাকা শহরের সব গাছ কেটে ফেলেছে। পরিবেশ-প্রকৃতি নিয়ে যারা কাজ করেন, তাদের বেশির ভাগকে তখন চুপ থাকতে দেখেছি, যেটি অনভিপ্রেত।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে দেশে একটি অদ্ভূত ধরনের তন্ত্র চালু করেছিলেন, সেটা হচ্ছে কারফিউতন্ত্র।’
‘যাদের বয়স পঞ্চাশের ওপরে তাদের মনে থাকবে, জিয়াউর রহমানের সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম শহরে বছরের পর বছর রাতের বেলা কারফিউ ছিল। তিনি ঢাকা শহরের রাস্তার দুই ধারের গাছপালা সব কেটে ফেলেছিলেন।’
প্রতিবছর বর্ষাকালের শুরুতে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী বিভিন্ন সংগঠন। এর অংশ হিসেবে দলের বন ও পরিবেশ উপকমিটি চার মাসের চারা রোপণ ও পরিচর্যা কর্মসূচি শুরু করে।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতার সময় দেশে বনভূমির পরিমাণ ৮ শতাংশে নেমে এসেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে গত সাড়ে ১২ বছরে বৃক্ষ আচ্ছাদিত জমির পরিমাণ অনেক বেড়েছে। একই সঙ্গে বনভূমির পরিমাণও ১২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।’
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃক্ষরোপণ-বৃক্ষসৃজনকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করেছেন। আমরা একটি করে বনজ, ভেষজ ও ঔষধি তিন ধরনের গাছ লাগিয়ে এই আন্দোলনকে আরও বেগবান করব।’
এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গুরুজনকে সম্মান করার শিক্ষা আমার পরিবার এবং আমার নেত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন, সে জন্য বয়সে জ্যেষ্ঠ খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান রেখে বলছি, তার ডাকনাম পুতুল, এই জন্যই হয়তো পুতুল কথাটি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবে মাথায় ঘুরপাক খায়।’
অনুষ্ঠানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা কালীমন্দিরসংলগ্ন অংশে ফলদ, বনজ ও ঔষধি তিন প্রকারের একটি করে বৃক্ষের চারা রোপণ করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।