বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার জকিগঞ্জে মিলবে গ্যাস!

  •    
  • ১৫ জুন, ২০২১ ১৯:১৫

জকিগঞ্জে নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারে অনুসন্ধান চালাচ্ছে বাপেক্স। এতে আশাবাদী হওয়ার মতো অনেক কিছুই মিলছে। সবগুলো পরীক্ষা সফল হলে গ্যাস উত্তোলনের উদ্যোগ নেয়া হবে। সে ক্ষেত্রে এটি হবে জকিগঞ্জ উপজেলার প্রথম ও দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র।

সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা জকিগঞ্জে একটি গ্যাসক্ষেত্র পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে সেখানে গ্যাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।

জকিগঞ্জের পশ্চিম আনন্দপুর গ্রামে অনুসন্ধান চালায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। এ অনুসন্ধানে প্রথম দফার পরীক্ষায় গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আরও কয়েক দফা পরীক্ষা চালিয়ে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বাপেক্স কর্মকর্তারা।

সব পরীক্ষা সফল হলে গ্যাস উত্তোলনের উদ্যোগ নেয়া হবে। সে ক্ষেত্রে এটি হবে জকিগঞ্জ উপজেলার প্রথম ও দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র।

১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে। এরপর আবিষ্কৃত হয়েছে আরও বেশ কয়েকটি গ্যাসক্ষেত্র। দেশের গ্যাসের চাহিদার একটি বড় অংশের জোগানদাতা উত্তর-পূর্বের এই জনপদ।

হরিপুর, কৈলাশটিলা, রশিদুপর, বিয়ানীবাজার ও ছাতক গ্যাসক্ষেত্র মিলিয়ে সিলেট গ্যাসফিল্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন গ্যাসকূপই রয়েছে ২৯টি। এ ছাড়া সিলেট ও হবিগঞ্জের একাধিক ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করছে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান শেভরন। সুনামগঞ্জের টেংরাটিলা আর মৌলভীবাজারের মাগুরছড়ায় উত্তোলনকালে আগুনে ধ্বংসও হয় দুটি গ্যাসক্ষেত্র।

জকিগঞ্জে নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সম্ভাবনা সম্পর্কে সিলেট গ্যাসফিল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের মজুত রয়েছে বলে আমাদের ধারণা। এই ধারণা থেকে অনেক জায়গায় অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। সিলেটের জকিগঞ্জে বাপেক্স অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এই অনুসন্ধানে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখনও তারা আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।’

এদিকে, বাপেক্সের অনুসন্ধানে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়ায় মঙ্গলবার সকালে উপজেলা শহরের অদূরে পশ্চিম আনন্দপুর গ্রামের অনুসন্ধান কূপে ড্রিল স্টিম টেস্ট (ডিএসটি) ‘সৌভাগ্য শিখা’ প্রজ্বালন করা হয়।

বাপেক্স কর্মকর্তারা জানান, জকিগঞ্জের পাশের বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় একাধিক গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। জকিগঞ্জেও দীর্ঘদিন ধরে গ্যাসের অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। এই প্রথম আশাবাদি হওয়ার মতো উপকরণ পাওয়া গেছে।

সিলেট গ্যাসফিল্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন এই গ্যাসক্ষেত্রের প্রকল্প পরিচালক কবির আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জকিগঞ্জে নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারে অনুসন্ধান চালাচ্ছে বাপেক্স। অনুসন্ধানে আশাবাদী হওয়ার মতো অনেক কিছুই মিলছে। তবে এখনই চূড়ান্ত কিছু বলা যাবে না।’

বাপেক্স কর্মকর্তারা বলছেন, কূপটির অভ্যন্তরে চাপ রয়েছে ৬ হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গইঞ্চি) আর ফ্লোটিং চাপ রয়েছে ১৩ হাজারের বেশি। কূপটিতে মোট চারটি স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাপেক্সের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রথম দফা পরীক্ষায় গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এখন আরও তিন দফা পরীক্ষা চালানো হবে। এরপর গ্যাসের উপস্থিতি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তখন নিশ্চিতভাবে বলা যাবে এই কূপে গ্যাস আছে কি না।’

বাপেক্সের উপমহাব্যবস্থাপক মো. মঞ্জুরুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ভালো কিছু আশা করছি। তবে এখনও এখানে পর্যবেক্ষণ চলছে।’

তিনি বলেন, ‘অনেক সময় অনুসন্ধান কূপে পকেট থাকতে পারে। তাই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। চূড়ান্তভাবে সফল হলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে।’

বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা জকিগঞ্জে নতুন গ্যাসের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছি। আগামীকাল সকালে এই পরীক্ষার চূড়ান্ত সময় ২৪ ঘণ্টা পার হবে। তখন নিশ্চিত করা হবে। বুধবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।’

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৭টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুতের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ টিসিএফ, আরও ৬ টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুত। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৮ টিসিএফ উত্তোলন করা হয়েছে। সে হিসাবে প্রমাণিত মজুত অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ৩ টিসিএফ।

এ বিভাগের আরো খবর