বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দাম নির্ধারণের এখতিয়ার নেই বিইআরসির: লোয়াব

  •    
  • ১৫ জুন, ২০২১ ১৯:০৩

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, আইন ও হাইকোর্টের আদেশ বিবেচনায় নিয়ে গণশুনানির মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণের আদেশ দিয়েছে কমিশন। প্রয়োজনে আবার গণশুনানির ব্যবস্থা করা হবে। সর্বজন স্বীকৃত ফর্মুলার ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণের কোন এখতিয়ার নেই বলে দাবি করেছে এলপিজি অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (লোয়াব)।

মঙ্গলবার রাজধানীর রুপসী বাংলা হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি করে।

সংবাদ সম্মেলনে লোয়াবের সভাপতি আজম জে চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন তাড়াহুড়া করে একটি মূল্যহার নির্ধারণ করেছে। দাম নির্ধারণে জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের যে ধরনের যোগ্যতা, দক্ষতা থাকা দরকার তা তাদের নেই।

‘পেট্রিলিয়াম প্রোডাক্টের দাম নির্ধারণে তাদের কোনো বিধিমালাই নেই। তাহলে তারা কীভাবে দাম নির্ধারণ করে। যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তা একপেশে। তারা এই শিল্পকে ধ্বংস করতে চায়। তাদের এ সিদ্ধান্তের কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এলপিজির সংকট তৈরি হচ্ছে। তারা যে দাম নির্ধারণ করেছে সেটি বাজারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।’

তবে তার এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, আইন ও হাইকোর্টের আদেশ বিবেচনায় নিয়ে গণশুনানির মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণের আদেশ দিয়েছে কমিশন। প্রয়োজনে আবার গণশুনানির ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, সর্বজন স্বীকৃত ফর্মুলার ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৬ সালে ভোক্তা অধিকার সমিতির করা একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) তাড়াহুড়া করে একটি মূল্যহার ঘোষণা করে। মামলার সময় প্রতিটি ১২ কেজি রিলিফ সিলিন্ডারের দাম বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের ব্যাপক বিনিয়োগের ফলে এলপি গ্যাস পরিস্থিতির বেশ উন্নতি ঘটে। বাজারে সরবরাহ ও সেবা বৃদ্ধি পায় এবং এর মূল্য অনেক কমে যায়। মূল্য যখন

অনেক কমে যায় তখন মামলাটির শুনানী শুরু হয়।

‘গত ১২ এপ্রিল বিইআরসি যে মূল্যহার ঘোষণা করেছে তাতে খরচ ও মুনাফার প্রকৃত হিসেব প্রতিফলিত হয়নি এবং ভ্যালু চেইনের প্রতিটি স্তরে চরম ভুল বোঝাবুঝি ও অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ঘোষিত খুচরা মূল্যহার (এমআরপি) চালু হওয়ার পর থেকে উৎপাদনকারী অপারেটর, ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেইলার সবাই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কারণ বিইআরসি ঘোষিত মূল্যহার প্রকৃত উৎপাদন ব্যয়ের চেয়েও কম এবং ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেইলারদের যে ব্যয় ধরা হয়েছে তা সরকারি এলপি গ্যাসের তুলনায় অনেক কম।’

লোয়াবের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন এলপি গ্যাসের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১২ লাখ মেট্রিক টন। ২০২৫ সালে তা দ্বিগুণ হতে পারে। দেশে সরবরাহ করা এলপি গ্যাসের ৯৮ শতাংশেরও বেশি আমদানি করা। বেসরকারি খাতের ৫৬টি কোম্পানি এখন পর্যন্ত লাইসেন্স পেয়েছে। এর মধ্যে ২০টি কোম্পানি আমদানি ও ২৮টি কোম্পানি বিপণন করছে। ওই ২০টি কোম্পানির মোট বিনিয়োগ প্রায় ৩০০ কোটি ডলার (আড়াই হাজার কোটি টাকা)।

বেসরকারি কোম্পানিগুলো প্রায় এক লাখ টন মজুতের সক্ষমতা গড়ে তুলেছে। নৌপথের পাশাপাশি সড়ক পথেও নিরাপদে সরবরাহ ও বিপণনের ব্যবস্থা এবং ২০টি স্যাটেলাইট প্লান্ট গড়ে তুলেছে।

এ বিভাগের আরো খবর