দেশে নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।
সিলেটের জকিগঞ্জের আনন্দপুর গ্রামে ক্ষেত্রটির সন্ধান পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে অনুসন্ধান কূপে সফলতার সঙ্গে ড্রিল স্টিস টেস্ট (ডিএসটি) বা শিখা জ্বালাতে সক্ষম হয় বাপেক্স।
বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা জকিগঞ্জে নতুন গ্যাসের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছি। আগামীকাল সকালে এই পরীক্ষার চূড়ান্ত সময় ২৪ ঘণ্টা পার হবে। তখন নিশ্চিত করা হবে।
‘বুধবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখনই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। ২৪ ঘণ্টা না গেলে বলার নিয়ম নেই। তবে আমরা ভালো কিছু আশা করছি।
‘অনেক সময় পকেট (অন্য গ্যাসক্ষেত্রের অংশ) থাকতে পারে। তাই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’
অনুসন্ধানে কূপটির ভেতর ৬ হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গইঞ্চি) চাপ পাওয়া গেছে। আর ফ্লোটিং চাপ রয়েছে ১৩ হাজারের বেশি পিএসআই। এখন প্রথম স্তরের পরীক্ষা চলছে।
ক্ষেত্রটির চারটি স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে বাপেক্স। ভারত সীমান্তঘেঁষা নতুন এই গ্যাসক্ষেত্র সিলেটের বিয়ানীবাজার থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে। গোলাপগঞ্জ থেকে এর দূরত্ব ৪৬ কিলোমিটার।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৭টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুতের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। আরও ৬ টিসিএফ সম্ভাব্য মজুত রয়েছে।
এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৮ টিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। সে হিসাবে প্রমাণিত মজুত অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ৩ টিসিএফ।